স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে আফগানিস্তানের নাঙ্গারহার প্রদেশের শিওয়ার জেলা ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী বারকাশকট এলাকায় আবারও অনুভূত হয় ভূমিকম্প। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস জানিয়েছে, এই কম্পনের উৎপত্তি মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এতে বহু বাড়ি ও ছোট অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে।
গত রোববারের প্রথম ধাক্কা ছিল ৬ মাত্রার, যা কুনার ও নাঙ্গারহার প্রদেশে ব্যাপক ধ্বংস চালায়। হতাহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ছিল, যা পাহাড় ধসে গ্রামীণ এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে উদ্ধারকাজে বাধা সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভূমিকম্প /পাহাড়চূড়াতেই দাফন করতে হচ্ছে লাশ
পরপর এই তিনটি ভূমিকম্পে হাজার হাজার বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। স্কুল, হাসপাতাল ও অন্যান্য অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেঁচে থাকা মানুষগুলো গৃহহীন হয়ে রাত কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে। নিরাপদ আশ্রয় ও খাদ্যের অভাবে মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হচ্ছে বলে জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা জানাচ্ছে, খাদ্য, পানি, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
তারা তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, কারণ এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
]]>