আফগানিস্তান সম্পর্কে কাউন্সিলের ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আসিম ইফতিখার আহমেদ বলেন, ‘দায়েশ-কে, আল-কায়েদা, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি), পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম), বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এবং মাজিদ ব্রিগেডসহ একাধিক সন্ত্রাসী সত্তা আফগান অভয়ারণ্য থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘৬০টিরও বেশি সন্ত্রাসী শিবির সীমান্ত পার হয়ে অনুপ্রবেশ ও হামলার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন:ইসরাইলি নেতাদের একদিন জেলে ভরা হবে, আশা জাতিসংঘের গাজা বিষয়ক শীর্ষ তদন্তকারীর
জানান, পাকিস্তানের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য আছে, এই গোষ্ঠীগুলো যৌথ প্রশিক্ষণ, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়ার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের বেসামরিক নাগরিক, নিরাপত্তা বাহিনী এবং উন্নয়ন প্রকল্প লক্ষ্য করে সমন্বিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
পরিষদে রাষ্ট্রদূত বলেন, পাকিস্তান ও চীন যৌথভাবে জাতিসংঘের ১২৬৭ নিষেধাজ্ঞা কমিটিকে বিএলএ এবং মাজিদ ব্রিগেডকে তালিকাভুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেছে এবং প্রস্তাবটির দ্রুত পদক্ষেপের আশা প্রকাশ করেছে।
তিনি ‘আনুমানিক ৬,০০০ যোদ্ধা নিয়ে টিটিপিকে আফগান মাটিতে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন, পাকিস্তান বেশ কয়েকটি অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। আফগানিস্তান থেকে বিদেশি বাহিনীর প্রত্যাহারের সময় তাদের রেখে যাওয়া অত্যাধুনিক সামরিক-গ্রেডের অস্ত্রও জব্দ করেছে।’
এই অভিযানগুলোতে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত। উল্লেখ করেন সীমান্ত রক্ষা করতে গিয়ে এই মাসে ১২ জন পাকিস্তানি সেনা শহীদ হয়েছেন।
আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকটের দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাষ্ট্রদূত ইফতিখার।
বলেন, পাকিস্তান চার দশকেরও বেশি সময় ধরে লক্ষ লক্ষ আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, প্রায়ই পর্যাপ্ত আন্তর্জাতিক সহায়তা না থাকা সত্ত্বেও।
আরও পড়ুন:আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ৯০০ পরিবারের পাশে বাংলাদেশি সেবা সংস্থা
তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটেছে। তারপরও আফগানিস্তানের পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগজনক রয়ে গেছে এবং জোর দিয়ে বলেন, বিচ্ছিন্নতার পরিবর্তে টেকসই সম্পৃক্ততাই শান্তি অর্জনের একমাত্র উপায়।
সূত্র: জিও নিউজ
]]>