এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল তাদের দণ্ডের বিপরীতে আপিল করেত পারবেন কি না?
বর্তমানে দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনই পলাতক রয়েছেন। এ অবস্থায় রায়ের পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই আসামিকে হস্তান্তরে ভারতের কাছে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
অপরদিকে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছে।
তবে পলাতক থাকায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামাল চাইলে আপিল করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইন সংশ্লিষ্টরা।
ট্রাইব্যুনাল আইনে বলা আছে, রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়। তবে আপিলের সুযোগ নিতে হলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে হবে, অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হতে হবে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাসিনা ও কামালকে ফেরত পাঠাতে দিল্লির প্রতি আহ্বান ঢাকার
এ অবস্থায় আপিলের সুযোগ নিতে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জনকে দেশে ফিরতে হবে। আদালতে হাজির হয়ে কিংবা গ্রেফতার হলে তবেই আপিলের সুযোগ মিলবে তাদের। অন্যদিকে ৩০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ চাইলেও আপিল বিভাগে যেতে পারবে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফাঁসির আদেশ দেন। মামলার দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। তবে এক নম্বর অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসিনা-কামালের সাজা কখন থেকে কার্যকর, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালেরও ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আর রাজসাক্ষী হয়ে সত্য উন্মোচনে সহায়তা করায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

১ সপ্তাহে আগে
৪






Bengali (BD) ·
English (US) ·