সার্বিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর নোভি সাদে ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপর এই দুর্ঘটনার স্মরণে বেলগ্রেডের নাট্যকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা একটি রাস্তা অবরোধ করেন। সেসময় দেশটির রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার ভুচিচ সমর্থিত সার্বিয়ান প্রোগ্রেসিভ পার্টির (এসএনএস) সমর্থক ও স্থানীয় কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এর পরপরই এই ঘটনার বিচারের দাবিতে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও অধ্যাপকদের নেতৃত্বে একটি জাতীয় আন্দোলন গড়ে ওঠে। যা দেশটিতে দীর্ঘ ১৩ বছর শাসন করা রাষ্ট্রপতি ভুচিচের ক্ষমতার ভীত নাড়িয়ে দিয়েছে বলেও মনে করেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনায় কী আছে
পরবর্তীতে চারজন হামলাকারী নিজেদের দোষ স্বীকার করে এবং তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়। তবে শিক্ষার্থীরা বলছে, হামলাকারী সকলকে শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে ও হামলার নির্দেশকারীকে খুঁজে বের করতে হবে।
বিক্ষোভকারীরা ভুচিচ এবং তার দলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দ্রুত নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছে।
বেলগ্রেডের ৫০ বছর বয়সি বিক্ষোভকারী ভেসনা পেটোভিচ বলেন, ‘তারা (এসএনএস) অনেক বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছে। এই আন্দোলন থেকে এখন আর কেউই পিছু হটবে না।’
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ২৮ দফা পরিকল্পনা ইউক্রেনে শান্তির ভিত্তি হতে পারে: পুতিন
গত এক বছরে সার্বিয়ার রাজধানীসহ পুরো দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ হতে দেখা গেছে। যার মধ্যে একাধিক বিক্ষোভ পুলিশের স্টান গ্রেনেড ও টিয়ারশেলে ছত্রভঙ্গ হয়।
বিক্ষোভকারী ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন দেশটির পুলিশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ করেছে। তবে কতৃপক্ষের দাবি, বিক্ষোভকারীরাই সরকারী দলের সমর্থক ও তাদের কার্যালয়ে হামলা করেছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

১৮ ঘন্টা আগে
১






Bengali (BD) ·
English (US) ·