আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর জোহরের নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ডিজির সভাকক্ষে স্টল বরাদ্দের লটারি অনুষ্ঠিত হবে। আশা করা হচ্ছে, দেশি-বিদেশি মিলিয়ে প্রায় শতাধিক ইসলামি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেবে।
এবারই প্রথম বায়তুল মোকাররমের পূর্ব গেইট থেকে দৈনিক বাংলার মেইন রোড পর্যন্ত মেলার স্টল বিস্তৃত করা হচ্ছে। এতে পাঠক ও দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে ভিন্নধর্মী আয়োজন। থাকবে শিশুচত্বর, মিডিয়া কর্ণার, মহিলাদের আলাদা বসার স্থান, লিটল ম্যাগাজিন কর্ণার, লেখক কর্ণার, চা,কফি,ফুড কর্ণার ও ইনফরমেশন সেন্টার। এছাড়া বিশাল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে লেখক, প্রকাশক, পাঠক ও অতিথিদের নিয়ে আলোচনা, সাংস্কৃতিক আয়োজন ও নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন।
আরও পড়ুন: নবীজির সিরাত পাঠের প্রয়োজনীয়তা
মেলার আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করবেন। এরপর থেকে বইমেলা চলবে মাসব্যাপী।
বাংলাদেশে ইসলামি বইমেলার যাত্রা শুরু হয় নব্বইয়ের দশকের শেষভাগে। প্রথমদিকে সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হলেও ধীরে ধীরে এর ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পায়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমকে কেন্দ্র করে এখন এটি দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামি গ্রন্থমেলায় পরিণত হয়েছে।
দেশীয় প্রকাশনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রকাশকদের অংশগ্রহণে এর গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে গেছে। ইসলামি জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও সাহিত্যের বিকাশ আর তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে উদ্বুদ্ধ করতে এই মেলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে।
]]>