আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে বাংলাদেশিদের আইন মেনে চলার তাগিদ

২ সপ্তাহ আগে
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে পালিত হল আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইন মেনে চলার তাগিদ দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

কেউ জীবিকার সন্ধানে। আবার কেউ উন্নত জীবনের খোঁজে। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান বাংলাদেশের মানুষ। এভাবে বিশ্বজুড়ে বর্তমানে দেড় কোটি বাংলাদেশি বসবাস করছেন। কুয়েতেও সংখ্যাটা কম নয়। দেশটিতে তিন লাখের মতো বাংলাদেশি রয়েছেন।

 

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ছিল আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। কুয়েতেও দিবসটি নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে পালিত হয়েছে। ‘প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার/বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার’ স্লোগানকে সামনে রেখে এদিন সন্ধ্যায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাকিবুল করিম চৌধুরী, কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মু. মুনিরুজ্জামান ও তৃতীয় সচিব আবদুল লতিফ ফকিরসহ অসংখ্য প্রবাসী।

 

আরও পড়ুন: ফের সিআইপি সম্মাননা পেলেন প্রবাসী বাংলাদেশি উদ্যোক্তা আহমেদ মোত্তাকি

 

অনুষ্ঠানে কুয়েত থেকে বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখায় প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে জনতা গ্রুপ হাজী আবুল কাশেম এবং ব্যাক্তি পর্যায়ে মোখাই আলী লুতফর রহমানকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাসের চলতি বছরের কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের প্রেরিত বাণী পড়ে শোনানো হয়। প্রদর্শন করা প্রামাণ্যচিত্র। যাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রবাসীদের ভুমিকা গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়।

 

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, কুয়েতে বাংলাদেশিদের আইন অমান্য করার প্রবনতা বেশি। এ কারণে এখানে বাংলাদেশিদের ভিসা পেতে বিশেষ অনুমতি প্রথা লামানার প্রয়োজন হয়। যা বাতিল হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু হচ্ছে না।

 

আরও পড়ুন: স্পন্সর ভিসায় সুখবর, ৪ লাখেরও বেশি শ্রমিক নেবে ইতালি

 

প্রবাসীদের কুয়েতের আইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, কুয়েতের বাজারে বাংলাদেশের জনশক্তি নিয়োগের ক্ষেত্রে লামানা প্রথা বা বিশেষ অনুমতি অপসারণের জন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলছে। আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে গান পরিবেশন করেন প্রবাসী শিল্পীরা।

 


 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন