প্রায় ৮২ বছর ধরে আনারস চাষ হচ্ছে টাঙ্গাইলের মধুপুরে। এখানকার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হয় আনারস চাষ। রাস্তা দিয়ে যেতেই মিলবে আনারসের মৌ মৌ গন্ধ। এ অঞ্চলে উৎপাদিত আনারসের ঐতিহ্য ও সুনাম রয়েছে দেশব্যাপী।
হানিকুইন, জলডুগি, ঘোড়াশাল ও ক্যালেন্ডার জাতের আনারস বেশি চাষ হয় টাঙ্গাইলের মধুপুরে। আনারস দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে না পাড়ায় বিপাকে পড়তে হয় চাষিদের। এর মধ্যে আবার অন্য বছরের তুলনায় এবার উৎপাদন খরচ বেশিও দাম কম থাকায় বেড়েছে লোকসানের শঙ্কা।
আরও পড়ুন: লবণাক্ত জমিতে আনারস চাষে বাজিমাত পটুয়াখালীর সুলতানের
এ পরিস্থিতিতে আনারস রফতানিতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার দাবি কৃষকদের। তারা বলেন, বাজার পরিস্থিতি আগের মতো নেই। মানুষ কম কিনছেন আনারস। ফলে বেচাকেনা কমে যাওয়ায় দাম মিলছে না খরচের তুলনায়।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, ন্যায্য মূল্য পেতে উন্নত জাতের আনারস উৎপাদনের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের জ্যাম, জেলি, জুস ও আচার তৈরির পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কাজ চলছে রফতানি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে। টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আশেক পারভেজ বলেন, আনারস প্রক্রিয়াজাত করে জ্যাম, জেলি বা আচার তৈরিতে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। এতে প্রায় পৌনে ৩ লাখ মেট্রিক টন আনারস উৎপাদন হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করছে কৃষি বিভাগ।