মহসিন নাকভি সাংবাদিকদের বলেন, হামলাকারী ‘আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়ে একটি পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।’ তবে এই হামলার জন্য কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দোষারোপ করেননি তিনি।
হামলায় ১২ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ হামলার ‘সকল দিক খতিয়ে দেখছে’। হামলার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। বলেছেন, ‘পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। এই হামলাকে ‘সতর্কবার্তা’ হিসেবে নেয়া উচিৎ।
এই হামলার জন্য আফগানিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে খাজা আসিফ বলেন, ‘কাবুলের শাসকরা পাকিস্তানে সন্ত্রাস বন্ধ করতে পারে, কিন্তু ইসলামাবাদে এই যুদ্ধ নিয়ে আসা কাবুলের একটি বার্তা, যার জবাব পাকিস্তান পুরোপুরি দিতে সক্ষম’।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আদালতের বাইরে বিস্ফোরণ, নিহত ১২
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে আদালতের বাইরে পার্ক করা একটি গাড়িতে বিস্ফোরণটি ঘটে, যেখানে সাধারণত প্রচুর ভিড় থাকে। নিহতদের বেশিরভাগই পথচারী যারা আদালতে শুনানির জন্য এসেছিলেন।
পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা তদন্ত করছি এটি কী ধরনের বিস্ফোরণ ছিল। এটি এখনও স্পষ্ট নয়। আমাদের ফরেনসিক দলের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরে আমরা আরও বিস্তারিত জানাতে পারব।’
পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিও এই বিস্ফোরণকে ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণ’ হিসেবে বর্ণনা করে এর নিন্দা জানিয়েছেন।
জারদারির এক্স অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ইসলামাবাদ জেলা বিচার বিভাগীয় কমপ্লেক্সের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে (নিহতদের) শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।’
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·