আদালতের নির্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি উদ্ধারসহ গুঁড়িয়ে দেয়া হলো স্থাপনা

৪ সপ্তাহ আগে
উচ্চ আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনসহ দুটি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অভিযানে বেদখল হয়ে থাকা প্রায় ২৫ শতক জমি উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের মসজিদ রোড এলাকায় জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবীন এই অভিযান পরিচালনা করেন।

 

মামলার রায় ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শহরের মসজিদ রোড এলাকায় জেলা প্রশাসন অর্পিত সম্পত্তির ২৪ দশমিক ৮৯ শতক জায়গা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ বিভিন্ন জনের কাছে বন্দোবস্ত দেন। ২০১২ সালের জুলাই মাসে লীলাময় ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি জায়গাটির মালিকানা দাবি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালতে মামলা দায়ের করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জেলা চেম্বার অব কমার্স। 

 

২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ আদালত লীলাময় ভট্টাচার্যের পক্ষে রায় দেন। সরকার পক্ষ এই অর্পিত আপিল রায় ডিক্রির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতে রিভিউ দায়ের করেন। পরে মামলার বাদি রিভিউর বিরুদ্ধে একটি আবেদন করেন। 

 

উচ্চ আদালতের আপিল ট্রাইব্যুনাল ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালের অর্পিত আপিল মোকদ্দমার রায় ডিক্রি বাস্তবায়নের জন্য এক আদেশ দেন।

 

জেলা প্রশাসন মামলায় হেরে যায়। উচ্চ আদালত জায়গাটি প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেন।

 

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার ভবনে হট্টগোল, মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ

 

উচ্চ আদালতের নির্দেশে বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে মসজিদ রোড এলাকায় উপস্থিত হন।

 

এসময় চেম্বার অব কমার্সের ভবনে থাকা দোকানদারকে মালামাল সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। ব্যবসায়ীরা মালামাল সরিয়ে নিলে জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

 

তবে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদেরকে উচ্ছেদের কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি। চেম্বারও কিছু বলেনি।

 

জায়গার মালিক নির্মল ভট্টাচার্য বলেন, এটি আমাদের পূর্ব পুরুষের জায়গা ছিল। বিভিন্ন কারণ এটি অর্পিত সম্পত্তিতে রূপান্তরিত হয়। সরকারের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পনের আইন করার পর আমরা ২০১২ সালে মামলা করি এবং ২০১৮ সালে মামলার রায় হয়। ২০১৯ সালে উচ্ছেদের নোটিশ আসে। উচ্চ আদালতে দুই একটি রিট হওয়ার পর রায় আমাদের পক্ষে আসে। জেলা প্রশাসন প্রত্যেক লীজিকে সরে যেতে নোটিশ দেন।

 

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বহিষ্কার

 

এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার নুসরাত জাবীন বলেন, আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে চেম্বারসহ দুটি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন