পরে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় সেই দণ্ড স্থগিত করে আইনজীবী আলেক উদ্দিন শেখকে তিরস্কার করে এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে ছেড়ে দেয়ার আদেশ দেন।
ওই আদালতের অফিস সহায়ক বুলবুল আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শানু আকন্দের আদালতে মারামারি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালে আইনজীবী আলেক উদ্দিন শেখ বিচারককে শুনানি না করার জন্য চাপ দেন। এসময় আসামি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আলেক উদ্দিন শেখ আদালতে হট্টগোল শুরু করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে বাস চলাচলে বাধা, বিএনপি ও আ.লীগ সমর্থিতদের পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন
আদালতের কাজে বাধা দেয়ায় বিচারক আসামিকে আটক করে আদালতের হেফাজতে গ্রহণ করেন। পরে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৮০ ধারায় গঠিত অভিযোগ আসামিকে পড়ে শোনালে তিনি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
শেষে আদালতের কাজে বাধা প্রদান করার অপরাধে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় ও তার বিরুদ্ধে আগে কোনো ফৌজদারি মামলা না থাকায় অর্থদন্ডাদেশ স্থগিত করে আসামিকে তিরষ্কার করা হয়। একইসাথে ভবিষ্যতে এমন অপরাধ না করার জন্য সতর্ক করে আদালতের হাজতখানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পলিথিনে মোড়ানো মানুষের হাত উদ্ধার
নাটোর আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদ মাহমুদ মিঠু বলেন, আইনজীবী আলেখ উদ্দিন শেখ আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান পরে বিকেলে তাকে মুক্তি প্রদান করে আদালত।
]]>