‘আত্মসমর্পণ’ শব্দটি আমাদের অভিধানে নেই: খামেনি

২ সপ্তাহ আগে
ইরানের মতো একটি মহান দেশ ও জাতির জন্য, আত্মসমর্পণের কথা বলাই অপমান বলে জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

তিনি বলেন, ইরানি জনগণ তাদের ঐক্য প্রদর্শন করেছে-এই বার্তা দিয়েছে যে ‘আমাদের জনগণ এক কণ্ঠস্বর’।

 

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ইরান-ইসরাইল সংঘাত এবং যুদ্ধবিরতির পর টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।

 

তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ‘আত্মসমর্পণ’ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, কিন্তু ‘এই ধরনের কথা মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে শোভা পায় না।’

 

খামেনি বলেন, ‘ইরানের মতো একটি মহান দেশ ও জাতির জন্য আত্মসমর্পণের কথা বলাই অপমান।’

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘বিজয়’ দাবি খামেনির

 

তিনি আরও বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প দুর্ঘটনাক্রমে একটি সত্য প্রকাশ করেছেন-যে আমেরিকানরা শুরু থেকেই ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরোধিতা করে আসছেন।

 

মার্কিন হামলা কখনোই পারমাণবিক হামলার জন্য ছিল না, বরং ইরানের আত্মসমর্পণের জন্য ছিল জানিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, মার্কিন সামরিক পদক্ষেপ কখনই পারমাণবিক সমস্যা বা পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণের বিষয়ে ছিল না, বরং ‘আত্মসমর্পণ’ সম্পর্কে ছিল।

 

তিনি বলেন, একদিন এটি মানবাধিকার সম্পর্কে, অন্যদিন এটি নারীদের অধিকার সম্পর্কে, তারপর এটি পারমাণবিক সমস্যা সম্পর্কে, তারপর ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে। আসলে এর মূলে, তারা সব সময় একটি বিষয় নিয়ে ছিল, তারা চায় ইরান আত্মসমর্পণ করুক।

 

আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করে আমেরিকা ‘উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যা ঘটেছে তার একটি ‘অস্বাভাবিকভাবে অতিরঞ্জিত’ বর্ণনা দিয়েছেন।

 

খামেনি বলেন, এটা স্পষ্ট ছিল যে তাকে (ট্রাম্প) এটা করতেই হবে। যারা শুনছেন তারা বলতে পারবেন যে যুক্তরাষ্ট্র সত্যকে বিকৃত করার জন্য অতিরিক্ত তথ্য দিচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সজোরে থাপ্পড়’ মেরেছে

 

খামেনি আরও বলেন, আমরা এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছি এবং এখানে তারা এটিকে ছোট করে দেখার চেষ্টা করেছে।

 

তিনি বলেন, আমেরিকা ‘সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল কারণ তারা মনে করেছিল, যদি তা না হয়, তাহলে ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে।’

খামেনি আরও বলেন, যে আমেরিকা ‘এই যুদ্ধ থেকে কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি’ ইরান ‘বিজয়ী’ হয়েছে এবং ‘আমেরিকার মুখে থাপ্পড় মেরেছে।’

 

ইরানি জাতির ঐক্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রায় ৯ কোটি জনসংখ্যার একটি জাতি সশস্ত্র বাহিনীর সমর্থনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিল। ইরানি জাতি তার বিশিষ্ট চরিত্র প্রদর্শন করেছে এবং দেখিয়েছে যে, প্রয়োজনে, এই জাতির পক্ষ থেকে একক কণ্ঠস্বর শোনা যাবে।’
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন