‘আত্মগোপনে থাকা’ জামালপুরের ছাত্রলীগ-আ.লীগের দুই নেতা ঢাকায় গ্রেফতার

৩ সপ্তাহ আগে
রাজধানী থেকে জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহেদ আলী ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল পাশাকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের দুজনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।


জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর রাজধানীতে আত্মগোপনে থাকে গ্রেফতাররা। পরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল বের করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে অশালীন শ্লোগান দেয়া ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে অশালীন স্লোগান দিতে দেখা যায় জামালপুরের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহেদ আলী (২১) এবং সাবেক পৌর কাউন্সিলর ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল পাশাকে (৪৩)। পরে রাজধানীর উত্তরা ও ফার্মগেট এলাকা থেকে জামালপুর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুস সাকিবের নেতৃত্বে তাদের গ্রেফতার করেছে জামালপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।


এছাড়া ছাত্রলীগ নেতা শাহেদ আলী বর্তমান সরকার ও প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলতে তার ফেসবুক পেইজে নিজের চোখ বেঁধে অপহরণের নাটক সাজিয়ে ভিডিও আপলোড করে।


বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় জামালপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা বলেন, ‘গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ দল রাজধানীর উত্তরা হাউস বিল্ডিং এলাকা থেকে শাহেদ আলীকে এবং ফার্মগেট থেকে জামাল পাশাকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্টের পর জামালপুর সদর থানায় নাশকতার মামলা ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারে পতনের পর দুজনই জামালপুর থেকে আত্মগোপন করে রাজধানীতে আশ্রয় নিয়েছিল।’


আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার


তিনি আরও বলেন, ‘তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল করতো। এছাড়া গত ৩ আগস্ট ছাত্রলীগ নেতা শাহেদ আলী নিজের চোখ বেঁধে অপহরণের নাটক সাজিয়ে ফেসবুকে ভিডিও প্রচার করেন। পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেন।’


জামালপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত যেকোনো চক্রের বিরুদ্ধে জামালপুর জেলা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা ছড়ানো কিংবা নিষিদ্ধ সংগঠনের পক্ষ নিয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়া এসব কর্মকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এই অভিযানের মাধ্যমে জামালপুর জেলা পুলিশ প্রমাণ করেছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তারা অটল এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।’


গ্রেফতারদের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন