সোমবার (৪ আগস্ট) আটাব মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে আটাব।
বিবৃতিতে বলা হয়,আটাবের বর্তমান কমিটি অবৈধ ভোটের মাধ্যমে নয়, বরং বৈধ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে। আটাবের কমিটি বাতিলে গভীর ষড়যন্ত্র এবং প্রশাসনিক মবের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আটাবের বর্তমান কমিটি আটাব অনলাইন নামে একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনেক শেয়ার হোল্ডারদের টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। যা এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রমাণসহ প্রেরণ করা রয়েছে। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সেসব দালিলিক প্রমাণ এড়িয়ে গেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আটাব অনলাইনের এই ঘটনা বর্তমান কমিটির মেয়াদকালে সংগঠিতই হয়নি।
আরও পড়ুন: খুলে দেয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে আটাবের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে যে মানববন্ধনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা পুরোপুরি সাজানো এবং বানোয়াট। ওই মানববন্ধনে আটাবের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিল না। বর্তমান কমিটিকে হেয় করতে মানববন্ধন নাটক সাজানো হয়েছে। যার ছবি এবং ভিডিও চিত্র আটাবের বর্তমান কমিটির কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। অফিস আদেশে আটাব সংস্কার পরিষদ নামে একটি সংগঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছ। যা একটি ভুঁইফোঁড় সংগঠন এবং এর কোনো নিবন্ধন নেই। এমনকি চার হাজার ট্রাভেল এজেন্টের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন এটা নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের উদ্দেশ্যে তৈরি করেছে। আর এমন একটি সংগঠনের অভিযোগ আমলে নেয়া আটাব সদস্যদের মধ্যে আরও বেশি সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-২ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এসব কারণে আটাব সংস্কার পরিষদ কর্তৃক অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস্ অব বাংলাদেশের (আটাব) কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগের আবেদন পাওয়া গেছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, নতুন প্রশাসক আগামী ১২০ দিনের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান শেষ করে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।
]]>