বিক্ষোভের আগে রাজধানীর বাইতুল মোকাররম ও প্রেসক্লাবের সামনে আলাদা আলাদা ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করবে সাতটি দল। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব কর্মসূচি চলবে।
জামায়াতে ইসলামী ছাড়াও সাত দলের মধ্যে রয়েছে- ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
জামায়াতে ইসলামী
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে বিকেল সাড়ে ৪টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকের সামনে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াত। সমাবেশে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা বক্তব্য দেবেন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার ৭ বিভাগে জামায়াতের বিক্ষোভ, কোথায় কে নেতৃত্ব দেবেন
জানা গেছে, বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে মিছিল বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।
ইসলামী আন্দোলন
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার আয়োজনে জোহর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল বের করবে দলটি। মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
বাংলাদে খেলাফত মজলিস
আসর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে খেলাফত মজলিস। এতে নেতৃত্ব দেবেন দলটির আমির মাওলানা মামুনুল হক।
খেলাফত মজলিস বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। এতে দলের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন।
এদিকে একই সময়, একই স্থানে মিছিল করবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও। বিকেল ৪টায় একই জায়গায় বিক্ষোভ করবে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।
এদিকে, সাতটি দলের কেউ পাঁচ দফা, কেউ ছয় দফা, কেউবা সাত দফা দাবি তুলেছেন। তবে সবার মূল দাবি প্রায় অভিন্ন।
দাবিগুলো হলো
জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং তার ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে (কেউ কেউ উচ্চকক্ষে) সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু করা। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
]]>