আজ যা ঘটেছে, খুব সহজেই এড়ানো যেত বললেন সালমান মুক্তাদির

৩ সপ্তাহ আগে
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহতের সংখ্যাও অনেক।

সোমবার (২১ জুলাই) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল জানান, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন মারা গেছেন।

এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।


এদিকে স্কুল শিক্ষার্থীদের এমন মৃত্যুর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে শোকের মাতম। যার রেশ ছুঁয়ে গেছে তারকাদের মাঝেও।

 

আরও পড়ুন: হতাহতদের রক্তদানে ৬ হাসপাতালের নাম জানালেন অপু বিশ্বাস


অভিনেতা ও মডেল সালমান মুক্তাদির এমন দুর্ঘটনায় নিজের ক্ষোভ, হতাশা উগরে দিয়েছেন। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি চুপ করে থাকার জন্য। আমার সবকিছু বুকে চেপে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এই দেশ নিজের মানুষদের দ্বারাই অভিশপ্ত।


‘আর আমি বারবার বলে যাচ্ছি, আমরা যে মৃত্যু পাই, সেটাই আমাদের প্রাপ্য। হোক সেটা আমাদের উপর ভবন ভেঙে পড়া, ট্রাক আমাদের উপর দিয়ে চলে যাওয়া, বাস আমাদের মাথা থেঁতলে দেওয়া, কনস্ট্রাকশনের গাড়ি আমাদের উপর কংক্রিট ফেলে দেওয়া, স্কুলের উপর ‘প্রশিক্ষণ’ বিমান ভেঙে পড়া, কিংবা ত্রুটিপূর্ণ প্যারাশুট বা বিমানে পাইলটদের মৃত্যু– আমরা সবাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতিই প্রাপ্য।


হতাশার কণ্ঠে সালমান আরও বলেন, আমরা প্রতিদিন সবকিছু এড়িয়ে যাই, কারণ এসব আমাদের সাথে হয় না। কিন্তু যখন হয়, তখন আমরা কাঁদি, আফসোস করি। তারপর আবার এগিয়ে যাই। আমরা যে মৃত্যু পাই, সেটাই প্রাপ্য, কারণ আমরা এই দেশকে এভাবে চলতে দেই। যখন কেউ কথা বলে না, আর হাতে গোনা অল্প কিছু মানুষ যারা মুখ খোলে, তারাও উপেক্ষায় ক্লান্ত হয়ে পড়ে– তখন এটা আস্তে আস্তে এক ধরনের চক্রে পরিণত হয়। এক অভিশপ্ত চক্রে।

 

আরও পড়ুন: বিমান বিধ্বস্ত: রক্তদানের আহ্বান তৌসিফ-সাদিয়া আয়মানের

 

‘তাই বসে থাকো, কেঁদে নাও, আর আশা করো জাদুর মতো সব ঠিক হয়ে যাবে। ভেতর থেকে মরে যাচ্ছি এটা দেখে যে একটিও মানুষ নেই যে বলবে, “এবার শেষ”, “এবার ঠিক করার সময় এসেছে।” একজনও নেই।’

 

সবশেষ সালমান লিখেছেন, আজ যা ঘটেছে, খুব সহজেই এড়ানো যেত।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন