বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেলা ১১টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এই বৈঠকে আগের অসমাপ্ত আলোচনা সমাপ্তিকরণ, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আলোচনা শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রথমে সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফ করেন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা ব্রিফ করেন৷
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান অবস্থা পরিবর্তনে প্রায় সবাই একমত। গোপন ব্যালটে ভোট দেয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ভারসাম্য চায় গণসংহতি।
আরও পড়ুন: ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন চায় এবি পার্টি
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধন অনুযায়ী দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে। গোপন ব্যালটে ভোট হতে হবে। নিম্নকক্ষে ৩০০+উচ্চকক্ষে ২০০+ নারী ১০০+ জেলা পরিষদ ৬৪+ সিটি কর্পোরেশন + স্থানীয় সরকার ৭০ হাজার ভোট প্রস্তাব করা হয়েছে।
জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘ক্ষমতার ভারসাম্য চায় জামায়াত। গোপন ব্যালটে ভোট এবং কেয়ারটেকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন চায় জামায়াত।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বলেছেন, ‘দুই একটি দলের আলোচনা বা প্রস্তাবে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের দোসর দলও আলোচনায় অংশ নিয়েছে। আজকে এসব নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে। পরবর্তীতে এসব বিষয় নিয়ে আবার কথা বলা হবে।’