শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল জলিল।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, সলফ গ্রামের আব্দুর রর, আব্দুল শফিক, আব্দুল জলিল, আব্দুল মমিন, আবুল লেইস, ছয়ফুল মিয়া, আবুল হাসনাত, আব্দুল বাছিত, আব্দুল তাহির ও আব্দুল জাহির। এরমধ্যে আব্দুল জাহিদের মোদির দোকানও ভষ্মিভূত হয়। অগ্নিকাণ্ডে ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে আগুনে পুড়ল ‘হাসিনার দানবীয় মুখাকৃতি’সহ দুটি মোটিফ
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল জলিল জানান, 'আগুনের সূত্রপাত আব্দুল তাহিদের ঘর থেকে। আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। মুহূর্তেই আগুন আশপাশের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। নিমিষেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোনোকিছুই অবশিষ্ট নেই।
পেশায় দিনমজুর আব্দুল জলিল আরও জানান, আগুনে আসবাবপত্র, পরিধানের কাপড়, নগদ অর্থ, বাড়ির দলিলপত্র, এনআইডি, জন্মনিবন্ধনসহ গুরুত্বপুর্ণ নথি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। বসতভিটা হারিয়ে এখন প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। সহায়-সম্বল হারিয়ে মানবেতর দিন পার করছেন তারা।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয়দের সহায়তায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: দুই মাস না যেতেই একই বাজারে আবার আগুন, পুড়লো ১৪ দোকান
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মনোতোষ মল্লিক বলেন, ‘আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
এদিকে, গতকাল অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা। এ সময় তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে সহায়তা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
]]>