সুপার লিগে চার ম্যাচের সবগুলোতে জিতে টেবিলের শীর্ষে আবাহনী। এই ম্যাচ জিতলে শীর্ষে থেকে শিরোপা নিশ্চিত করবে তারা। অন্যদিকে, মোহামেডান ৪ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতেছে। কিন্তু মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় এই ম্যাচ জিতলে শিরোপা জিতবে তারাও। সুপার লিগের বাকি ৪ দল গাজী গ্রুপ, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব এবং অগ্রণী ব্যাংক অনেক আগেই ছিটকে গেছে শিরোপার লড়াই থেকে।
অলিখিত ফাইনালের আগে সোমবার (২৮ এপ্রিল) অনুশীলন সেশন ছিল আবাহনী-মোহামেডান দুই দলেরই। তবে বৃষ্টির বাগড়ায় কেউই অনুশীলন করতে পারেনি তেমন। থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টির কারণে গা গরম করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুদলের খেলোয়াড়দের।
বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে কালকের ম্যাচেও। অ্যাকুয়াওয়েদারের দেয়া তথ্যানুযায়ী, আগামীকাল বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে ৮০ শতাংশ। বৃষ্টিতে খেলা মাঠে না গড়ালে কপাল পুড়বে মোহামেডানের। কারণ পয়েন্টে এগিয়ে থাকায় শিরোপা জিতে যাবে আবাহনী।
বৃষ্টির কারণে অনুশীলন না হলেও কথার লড়াই চলেছে আজ। দুদলই জানিয়েছে শিরোপা জয়ের প্রত্যাশার কথা। মিরপুরে গণমাধ্যমের সামনে মুখোমুখি হয়ে আবাহনীর কোচ হান্নান সরকার জানান, যে প্রক্রিয়া মেনে দল পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছে, সেভাবে এগোলে কাল শিরোপা জিতবে তার দলই। তবে আবাহনীর সেসব পরিকল্পনা নস্যাৎ করে শিরোপা জয়ের জন্য প্রস্তুত মোহামেডান, জানিয়েছেন দলটির পেসার এবাদত হোসেন।
আরও পড়ুন: তাইজুল ম্যাজিকে স্বস্তি নিয়ে প্রথম দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
হান্নান সরকার বলেন, 'আমরা টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ থেকে যখন শুরু করেছিলাম ১৬টা ম্যাচ খেলব, সেটা একটা প্ল্যানিং ছিল। লাস্ট ম্যাচ পর্যন্ত খেলতে হবে সুপার লিগ কোয়ালিফাই করেছি। ম্যাচটা একটু আলাদা সিনারিও তৈরি হয়েছে ফাইনাল। অবশ্যই তো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলাম, এখন সেই লক্ষ্যে শেষ স্টেপে। খেলোয়াড়রাও এক্সাইটেড কালকের দিনটা কখন আসবে, কখন খেলা শুরু হবে এবং দিন শেষ সাড়ে চারটা পাঁচটার দিকে কখন ট্রফিটা হাতে নেবে।'
এবারের ডিপিএলে অন্যতম আলোচিত বিষয় তাওহীদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি। আম্পায়ারের সঙ্গে বাদানুবাদ এবং সংবাদমাধ্যমে বেফাঁস মন্তব্য করে ২ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন মোহামেডান অধিনায়ক। তবে ফিরে এসেও নিজেকে শোধরাতে পারেননি। তামিম ইকবাল এবং অন্যান্য খেলোয়াড়দের হস্তক্ষেপে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হলেও পরের ম্যাচেই আবার একই আচরণ করে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হন তিনি। আবাহনী-মোহামেডান লড়াইয়ের আগেও উঠে এসেছে এই প্রসঙ্গ।
হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে আবাহনীর কোচ বলেন, 'হৃদয় বেসিক্যালি একজন অ্যাটাকিং প্লেয়ার। সে সবসময় জিততে চায় চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। তার মানসিকতা অনেক আগে থেকেই আমি জানি, হৃদয়ের সাথে খুবই ক্লোজ একটা অ্যাটাচমেন্ট আমার আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম যখন নিষেধাজ্ঞা হয় তারপরও আমার তার সাথে কথা হয়েছিল। পরের ইন্সিডেন্ট হলো তখন আমি একটু আপসেট হয়েছি। আমরা অনেক সময় জানি যে প্লেয়াররা হিট অফ দ্য মোমেন্ট অনেক কিছু করে ফেলে। এটা হয়তো সে জানে সে করবে না, কিন্তু ওই মুহূর্তে ঘটে যায়।'
]]>