আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপি সাজাতে যাচ্ছে সরকার

৩ সপ্তাহ আগে
আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সাজাতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। যা চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির চেয়ে ১৩.২১ শতাংশ কম হলেও সংশোধিত এডিপির তুলনায় ৬.৪৮ শতাংশ বেশি। অর্থনীতিবিদ বলছেন, অপচয়-দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়নের পথে হাঁটার ইঙ্গিত মিলেছে সরকারের কর্মপরিকল্পনায়।

প্রশাসন পরিচালনা ও উন্নয়ন ব্যয় এই দুইয়ে মিলে বাজেটে মোট ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে থাকে সরকার। নতুন অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি বরাদ্দের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত এডিপি থেকে ৩৫ ভাগ কম হলেও সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ বেশি।


সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিকটি মাথায় রেখেই অন্তর্বর্তী সরকার নতুন অর্থবছরের জন্য এডিপির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ।

 

আরও পড়ুন: প্রথম ৯ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন মাত্র ৩৬.৬৫ শতাংশ


অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, প্রকল্প বায়স্তবায়নে গতি আনতে হবে। গতি আনতে পারলে ঠিক মতো বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে যেটুকু অর্থ বরাদ্দ করা আছে সেটা আমাদের সমাজ ও অর্থনীতিতে সুফল বয়ে আনবে।


চলতি অর্থবছরের জন্য বিগত সরকার এডিপিতে বরাদ্দ রেখেছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। যা সংশোধন করে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া আগের প্রকল্পগুলো কাটছাঁট করায় বরাদ্দ কমছে বলে মত অর্থনীতিবিদের।


ড. মাহফুজ কবীর বলেন, বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে অনেকগুলো প্রকল্প ছিল যেগুলো রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া হয়েছিল। সোশ্যাল ও ইকনোমিক রিটার্ন কম। দুর্নীতি এবং অর্থ অপচয়ের সুযোগ না থাকে তাহলে যতটুকু এডিবি বাস্তবায়ন করা যাবে ততটুকুর সুফল পাওয়া যাবে।


এডিবি বাস্তবায়ন করতে প্রতিশ্রুত বিদেশি সহায়তা ছাড় করার জন্য সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন