সোমবার (১২ মে) সকালে আগরতলার বিএসএফ সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে এ বৈঠক। ওই বৈঠকে পুশইন ও মাদক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিনিধি দলটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যায়। বৈঠকে বাংলাদেশের চার সদস্যের নেতৃত্বদেন বিজিবির সুলতানপুর-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান।
আরও পড়ুন: বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক
বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্বদেন ত্রিপুরা রাজ্যের গোকুলনগর-৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অজয় কুমার সিং। বিএসএফের পাঁচ সদস্যের দল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বিএসএফের পুশইন বন্ধ রাখা, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বিএসএফের কাছ থেকে দুই বাংলাদেশিকে নিয়ে এলো বিজিবি
সূত্রটি আরও জানায়, ভারত থেকে মাদক আসার বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাদের সেখানকার মাদক বিষয়ে তথ্য দেয়া হয়েছে। পুশইন বিষয়েও আলোচনা হয়। আপাতত সেখান থেকে পুশইনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান বৈঠক শেষে ফিরে সন্ধ্যায় ফোনে সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি জানান, ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাত হয়েছে। পুশইন ও মাদক বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া রুটিন মাফিক যেসব আলোচনা হয় সেসব নিয়ে কথা বার্তা হয়েছে।