চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও সুগারমিলে ৬৫ দিনের আখ মাড়াই শুরু হয় গত ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ সুগারমিল বন্ধ থাকায় সেখানকার চাষিরাও আখ সরবরাহ করছেন এ মিলে। তবুও আখের সংকট যেন কাটছে না।
অন্যদিকে মিল জোন এলাকায় মাঠের পর মাঠ আখ উৎপাদনের পর যান্ত্রিক মেশিনের সাহায্যে তৈরি করা হচ্ছে আখের গুড়। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন সময়ের অভিযানেও বন্ধ করা যাচ্ছে না গুড় উৎপাদন। ফলে এ মৌসুমেও কাঁচামাল সংকটের আশঙ্কায় চিনিকল কর্তৃপক্ষ।
ঠাকুরগাঁও সুগারমিলের মহাব্যবস্থাপক মো. আবু রায়হান বলেন, রাতের আধারে গুড় তৈরি করছেন কৃষকরা। এ বিষয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কয়েকজনকে জরিমানাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩০০ কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে চালু হলো ঠাকুরগাঁও সুগারমিল
তবে কৃষকের অভিযোগ, কম দামে আখ দিয়েও সময়মতো অর্থ না পাওয়ার পাশাপাশি নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তারা বলেন, সময়মতো টাকা পাওয়া যায় না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে নিজেরাই গুড় উৎপাদন করছেন।
আখের সংগ্রহ বাড়াতে মূল্য বাড়াতে উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস চিনিকল কর্তৃপক্ষের। ঠাকুরগাঁও সুগারমিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান কবির বলেন, দামের সামঞ্জস্য রেখে আখের মূল্য যাতে ক্রমান্বয়ে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে।
ঠাকুরগাঁও সুগারমিলের তথ্যমতে, চলতি মাড়াই মৌসুমে ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৬ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
]]>