আক্রমণের তোড়ে দিশেহারা রিয়াল, পেদ্রির গোলে লিড বার্সার

২ সপ্তাহ আগে
কোপা দেল রে'র ফাইনালের আগে রেফারির মন্তব্যের জের ধরে ম্যাচ বয়কটেরই হুমকি দিয়ে বসেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের আগে রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল বার্সেলোনা সমর্থকরা। যার জের ধরে দুই দলেরই সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। কিন্তু ফাইনালের প্রথমার্ধে বার্সেলোনার কাছে পাত্তাই পেল না রিয়াল মাদ্রিদ। লস ব্লাঙ্কোদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করল কাতালানরা। পেদ্রির দুর্দান্ত এক গোলে লিড নিলেও ভাগ্য সহায় হলে গোল পেতে পারতো আরও।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) কোপা দেল রে'র ফাইনালের প্রথমার্ধে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে আছে বার্সেলোনা। ম্যাচের ২৮ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে কাতালানদের এগিয়ে দেন পেদ্রি।


এস্তাদিও দে লা কারতুজায় রিয়াল মাদ্রিদকে প্রথমার্ধে চিনতে হয়েছে জার্সির রং দেখে। বার্সেলোনার গতিময় ছন্দের সঙ্গে পাত্তাই পাচ্ছে না রিয়াল। ম্যাচের শুরুর পর অনেকক্ষণ পর্যন্ত তো বলই পায়নি সাদা জার্সিধারীরা।


আরও পড়ুন: রিয়াল ভক্তের নাক ফাটিয়ে গ্রেফতার হলেন বার্সেলোনা সমর্থক


ম্যাচের ১১ মিনিটেই এদিন লেফটব্যাক ফারল্যান্ড মেন্ডিকে হারায় রিয়াল। ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন এই ডিফেন্ডার। তার বদলে নেমেছেন ফ্রান গার্সিয়া।


এদিন বার্সেলোনার একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল রিয়াল। শুরুর দিকেই লামিনে ইয়ামালের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২১ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় বার্সা। রাফিনিয়া ভাসিয়ে পেনাল্টি বক্সে শট নেন। জুলস কুনে লাফিয়ে উঠে হেড করেছিলেন। এই ফরাসির হেড কোনোমতে বাইরে পাঠিয়ে দেন রিয়ালের গোলরক্ষক কোর্তোয়া। 


তবে ২৮ মিনিটে আর দলকে বাঁচাতে পারেননি কোর্তোয়া। বাইলাইনে গার্সিয়াকে বল দখলের লড়াইয়ে হারিয়ে ওপরে ওঠেন ইয়ামাল। এরপর চৌয়ামেনি, ভালভার্দে এবং সেবায়োসকে নিজের দিকে টেনে এনে ফাঁকায় বল বাড়ান। সময়মত জায়গায় পৌঁছে দূরপাল্লার জোরাল শট নেন পেদ্রি। লাফিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি কোর্তোয়া।


গোল খেয়ে খেলায় ফেরার চেষ্টা করতে থাকে রিয়াল। এ সময় বলের কিছুটা নিয়ন্ত্রণও পায় তারা। ৩৫ মিনিটে বার্সার জালে বল পাঠান বেলিংহ্যাম। কিন্তু সেই গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। বল রিসিভ করার সময় অফসাইডে ছিলেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।


আরও পড়ুন: আর্সেনাল হোঁচট খাওয়ায় শিরোপার জন্য লিভারপুলের একটা ড্রই যথেষ্ট


৪৪ মিনিটে দানি ওলমো প্রায় অলিম্পিকো গোল করে ফেলেছিলেন। বার্সার এই মিডফিল্ডারের নেয়া কর্নার পোস্টে লেগে ফিরে আসে।


যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে বার্সার গোলরক্ষক সেজনি ভিনিসিউসকে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগে অফসাইড পজিশন থেকে বল রিসিভ করায় পেনাল্টি ভাগ্যে জোটেনি আর।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন