আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামল চাকসু

৪ দিন আগে
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জুলাইসহ সকল গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ফ‍্যাসিবাদের দোসরদের অপতৎপরতা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু)।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পরে শহীদ মিনারের প্রাঙ্গণ হয়ে দিয়া কাটা পাহাড়ের রাস্তা ধরে গোলচত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

 

এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই’, ‘বিচার চাই, গণহত্যার বিচার চাই।’

 

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন চাকসুর ভিপি মো. ইব্রাহীম হোসেন রনি, যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা, শামসুন্নাহার হলের ভিপি ফাইরোজ ফেরদৌস এবং শাহজালাল হলের ভিপি মো. আলাউদ্দিন।

 

আরও পড়ুন: দুই বছরেরও বেশি সময় পর চবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

 

চাকসুর ভিপি মো. ইব্রাহীম রনি বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ যেসব সংগঠন নিষিদ্ধ হয়েছে, তাদের অপতৎপরতা এখনো বিভিন্ন স্থানে ও ক্যাম্পাসে দেখা যাচ্ছে। খুনি হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, তা একটি সুশীল সমাজের জন্য লজ্জাজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তা খুনি হাসিনার সমর্থন করে জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। এখন তারা আবারও সেই শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছে এটি ছাত্রসমাজের জন্য চরম লজ্জার।

 

তিনি আরও বলেন,আমরা চাই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিচার করা হোক। খুনি হাসিনার রায়ে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হোক আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করি।

 

চাকসুর যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থান হবে না। কিন্তু আমরা দেখেছি এই সরকার বারবার তাদের কুৎসিত চেহারা দেখাচ্ছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা (ছাত্রলীগ) ব্যানার টানিয়েছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই এই ক্যাম্পাসে তারা যদি মুখ দেখাতে চায়, তবে বিপ্লবীরা চুপ করে থাকবে না। আগস্টে যারা শিক্ষার্থীদের রক্তের ওপর মিছিল করেছে, তারা এখনো চাকরি করছে এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। আমরা খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই।

 

আরও পড়ুন: চবিতে স্টারলিংকের ইন্টারনেট চালু

 

বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হারেজুল ইসলাম, সহ-সাহিত্য সম্পাদক জিহাদ হোসাইন, দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার, সহ-ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য সম্পাদক আফনান হাসান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ এবং নির্বাহী সদস্য সালমান ফারসী ও মো. সোহানুর রহমান।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন