বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শহিদুল ফকির ওই গ্রামের আলী ফকিরের ছেলে এবং একটি মাছ ধরার ট্রলারের মাঝি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহিদুল ফকির যে ট্রলারের মাঝি ছিলেন, সেই ট্রলারের এক স্টাফের কাছে লতাচাপলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ফকিরের ভাই সোহেল ফকির ২ হাজার ৪০০ টাকা পাওনা ছিলেন। এই টাকার জেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে শহিদুলকে গালাগাল ও মারধর করেন সোহেল। একপর্যায়ে একটি ভারি কাঠের দাওয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই শহিদুল অচেতন হয়ে পড়েন।
নিহতের ছেলে সজল ফকির (১৯) বলেন, ‘আমার বাবার সঙ্গে তার কোনো লেনদেন ছিল না। তবুও সে বাবাকে গালাগাল করে। আমি তখন তাকে টাকা দিয়ে দিই। কিন্তু তারপরও সে বাবার মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করে। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
আরও পড়ুন: সালিশে চড়-থাপ্পড় মারায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে এ ইউনিয়নে কিছু লোক নানারকম অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।’
কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রিয়াজ হোসেন বলেন, ‘বিকেল পাঁচটার দিকে শহিদুলকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আমরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হই, তিনি আগেই মারা গেছেন।’
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য থানায় আনা হয়েছে। অভিযুক্ত সোহেল ফকির একাধিক মামলার আসামি। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একটি টিম কাজ করছে।’