গত শনিবার (১ নভেম্বর) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) এবিএম শাহ আলম।
তিনি বলেন, ‘আসামি আসাদকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার রহস্য উদঘাটনের সম্ভাবনা রয়েছে।’
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের নিজ বাড়ির ছাদ থেকে আবদুর রাজ্জাকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আসে এবং বুকেও গভীর ছুরিকাঘাত ছিল। এমনকি খুনিরা তার অণ্ডকোষও কেটে ফেলে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা (এডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের পরিবার প্রথমে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে দাবি করে। তবে ঘটনাস্থলের আলামত দেখে পুলিশ একে হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে অপমৃত্যুর মামলা করতে চাইলেও পুলিশ গ্রহণ করেনি।’
আরও পড়ুন: সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যা: ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ
তিনি আরও বলেন, ‘পরে দক্ষিণ সুরমা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল কামাল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার ভিত্তিতে নিহতের ছেলে আসাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।’
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাসার সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, বাইরে থেকে কেউ বাসায় প্রবেশ করেননি বা বেরও হননি। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডটি পারিবারিক কলহ বা ব্যক্তিগত ক্ষোভের জেরে ঘটেছে। আলামতের বিশ্লেষণ বলছে, ঘটনাটির পেছনে আক্রোশ বা যৌন হয়রানিসংক্রান্ত বিষয়ও জড়িত থাকতে পারে।’
পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়েছে এবং হত্যার পেছনের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৭







Bengali (BD) ·
English (US) ·