বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে একটি রেস্টুরেন্টে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুধী সমাজের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. রেজাউল করিম বলেন, যারা আজকে বলছেন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে হবে, যারা বলছেন ডিসেম্বরের না দিলে যমুনা ঘেরাও করা হবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কোন সরকারের কাছে নির্বাচন প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যে সরকার পালিয়ে গেছে, তাদের মেয়াদতো ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নয়, ২৯ সাল পর্যন্ত।
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, আমরা যারা বলি, এখনি নির্বাচন দিতে হবে, তাদেরকে আইনিভিত্তি তৈরি করেই নির্বাচনের দাবির বৈধতা নিশ্চিত করতে হবে। এই সরকার কিন্তু সাংবিধানিক কোনো সরকার নয়। সুপ্রিম কোর্টের একটি মতের ভিত্তিতে সরকার গঠিত হয়েছে, তারা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্রী শহিদুলকে আটক করার ঘটনায় জামায়াতের গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা
তিনি বলেন, এটা খুবই অযৌক্তিক পরবর্তী সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈধতা দিবে। বরং জুলাই বিপ্লব পরবর্তী যে আকাঙ্ক্ষা, যে সরকার, যে নির্বাচন, সেটিকে নিশ্চিত করতে হলে জুলাই সনদকে আইনিভিত্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
জামায়াত নেতা ড. রেজাউল করিম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আইনিভিত্তি তৈরি করে তার নাম রাখতে হবে। তা না হলে এই সরকারকে সব চেয়ে বেশি বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. ইউনূস যদি বিষয়টি বুঝতে না পারেন, তাহলে বিপদ কিন্তু ওনার সব চেয়ে বেশি হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার আয়োজনে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহন করেন।
আরও পড়ুন: জামায়াত আমিরের সঙ্গে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক, আলোচনা হলো যেসব বিষয়ে
জেলা জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মাস্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
জামায়াত নেতা এ আর হাফিজ উল্যার সঞ্চালনায় এতে পিআর পদ্ধতিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের বাংলাদেশ প্রেক্ষিত বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধা উল্লেখ করেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট নজির আহম্মদ।
]]>