জানা যায়, অসুস্থতার কারণ উল্লেখ করে চিকিৎসার জন্য চিন্ময়ের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী অপূর্ব কুমার ঘোষ। এরপর আদালত কারাবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের সহকারী পিপি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আসামি চিন্ময় কৃষ্ণের পক্ষে তার আইনজীবী আলিফ হত্যাসহ মোট পাঁচটি মামলায় জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সবগুলো মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।’
আরও পড়ুন: চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
আবেদন করা পাঁচ মামলা হলো: আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলা, গত বছরের ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় ভাঙচুর-হামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পুলিশের করা তিনটি এবং আলিফের ভাইয়ের করা আরেকটি মামলা।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশের পর গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ছাড়াও আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। পরবর্তীতে একই বছরের ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় ২৫ নভেম্বর তাকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ২৬ নভেম্বর জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এই সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়।
গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরবর্তীতে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।