৩ ঘন্টা আগে
১
অনলাইনে কেনাকাটা, ফ্রিল্যান্সিংসহ দৈনন্দিন নানা কাজে মোবাইল ও কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন ১৩ কোটি গ্রাহক। যার মধ্যে মোবাইল গ্রাহকই সাড়ে ১১ কোটি। তবে দৈনিক ব্যবহৃত ৬ হাজার ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের অর্ধেকের বেশি ব্যবহার করেন এক কোটি ৪০ লাখ ব্রডব্যান্ড গ্রাহক।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) তথ্য বলছে, বর্তমানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার বাজার ৬-৭ হাজার কোটি টাকার। এই বাজারে প্রবেশ করতে চায় মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। সম্প্রতি বিটিআরসির কাছে বাসাবাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিতে আইএসপি লাইসেন্স চায় তারা।
আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে দেশের টেলিকম ব্যবস্থা
তবে আইএসপি লাইসেন্সিং নীতিমালায়, মোবাইল অপারেটরদের জন্য ব্রডব্যান্ড সেবার লাইসেন্স গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলালিংক।
প্রতিষ্ঠানটির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, মোবাইল অপারেটরদেরও আইএসপি লাইসেন্স থাকলে ভালো হয়। এতে সেবার পরিধি বাড়বে। পাশাপাশি খরচও কমানোর সুযোগ রয়েছে মোবাইল অপারেটরদের।
এর আগে, ২০২৪ সালে সেলুলার মোবাইল সার্ভিস গাইডলাইনে তার ছাড়াই ওয়াইফাই সেবা দেয়ার অনুমতি দেয়া হয় মোবাইল অপারেটরদের। শিগগিরই চালু হচ্ছে স্টারলিংকের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এ অবস্থায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে মোবাইল অপারেটরদের আইএসপি লাইসেন্স না দিতে বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছে ব্রডব্যান্ড সেবাদাতারা।
আরও পড়ুন: দেশে ৩ স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমছে
আইএসপিএবি সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, মোবাইল অপারেটরদের বেশিরভাগই হলো বিদেশি উদ্যোক্তা। তাই ইন্টারনেট সেবা বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়া হবে কিনা, সেটি সরকারকে ভেবে দেখতে হবে।
সারাদেশে সেবা দেয়া প্রায় তিন হাজার ব্রডব্যান্ড উদ্যোক্তার আপত্তি আমলে নিয়েছে বিটিআরসি। সংস্থাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, পরস্পরের স্বার্থ রক্ষা করে ব্যবসা করতে পারলে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আইএসপির সঙ্গে পার্টনারশিপ করতে পারবে মোবাইল অপারেটররা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে তিন কোটি ৮৬ লাখ গ্রাহককে মোবাইল সেবা দিচ্ছে বাংলালিংক।
]]>
Bengali (BD) · 
English (US) ·