অ্যাশেজ শুরুর আগে বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

২ দিন আগে
অ্যাশেজ শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্সের পর পার্থ টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন জশ হ্যাজেলউডও। তিনদিন আগে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে শেফিল্ড শিল্ডে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে বিপক্ষে খেলতে গিয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন এই পেসার। প্রথমে তাকে খেলার জন্য ফিট ঘোষণা করা হলেও পরবর্তী স্ক্যানেই ধরা পড়েছে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি।

২১ নভেম্বর পার্থ টেস্ট দিয়ে শুরু হবে অ্যাশেজ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে স্কোয়াডের সঙ্গে থাকবেন না হ্যাজেলউড। তার বদলে স্কোয়াডে ডাকা হয়েছে কুইন্সল্যান্ডের পেসার মাইকেল নেসারকে। একই চোটে এর আগেই ছিটকে গেছেন শন অ্যাবটও। প্যাট কামিন্সও পিঠের ইনজুরি থেকে সেরে উঠলেও পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় অন্তত প্রথম টেস্টে খেলবেন না, তা আগেই নিশ্চিত ছিল।


ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বুধবারের (১২ নভেম্বর) স্ক্যানে কোনো সমস্যা দেখা না গেলেও আজকের স্ক্যানে ইনজুরি ধরা পড়েছে। প্রাথমিক স্ক্যান অনেক সময় নিম্নমাত্রার মাংসপেশির চোটকে কম গুরুতর দেখাতে পারে।'


এই ইনজুরির ফলে ব্রেন্ডন ডগেটের টেস্ট অভিষেকের সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। একই সঙ্গে মিচেল স্টার্ক এবং স্কট বোল্যান্ডের ওপর দায়িত্ব আরও বাড়ছে।

 

আরও পড়ুন: খরা কাটানো সেঞ্চুরিতে যেসব রেকর্ড গড়লেন বাবর


ইংল্যান্ডও নিজেদের ওয়ার্ম-আপ ম্যাচের প্রথমদিনে মার্ক উডকে নিয়ে একই রকম আতঙ্কে পড়েছিল। প্রথম দিনের খেলার পর হ্যামস্ট্রিং টাইটনেসের কারণে স্ক্যান করানো হলেও ইংল্যান্ড বোর্ড পরে জানায়, উড ঠিক আছেন।


২৯৫ টেস্ট উইকেটধারী হ্যাজলউড গত মাসে ভারতের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজে দুর্দান্ত বল করেছিলেন এবং শিল্ড ম্যাচেও ভালো ছন্দে ছিলেন। কিন্তু তৃতীয় দিনের সকালে স্পেল শেষে তিনি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথকে জানান যে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান অনুভব করছেন, এরপরই স্মিথ তাকে মাঠ ছাড়তে বলেন।


তিনি সঙ্গে সঙ্গে এসসিজি-সংলগ্ন ক্লিনিকে গিয়ে স্ক্যান করান, যা ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই প্রথমে স্বাভাবিক রিপোর্ট দেখায়। প্যাট কামিন্স, যিনি সেদিন ফিজিওদের সঙ্গে দেখা করতে মাঠে এসেছিলেন, বলেন হ্যাজলউড সেই সময় বেশ হাসিখুশি ছিলেন।


গত মৌসুমেও হ্যাজলউড ভারতের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের মধ্যে তিনটি খেলতে পারেননি। একবার সাইড স্ট্রেইন, আরেকবার কাফ ইনজুরিতে পড়েন তিনি।


২০১৪ সালের পর অস্ট্রেলিয়া মাত্র দু’বার ঘরের মাঠে হ্যাজলউড ও কামিন্সকে ছাড়া টেস্ট খেলেছে। ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই দুটি ম্যাচেই জয় পেয়েছিল অজিরা। সেই দু’টি টেস্টেই নেসার খেলেছিলেন।


সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পেসার ডগেট সম্প্রতি হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি কাটিয়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। শেফিল্ড শিল্ডে দুই ম্যাচে ১৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। তিনি এই বছরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ভ্রমণকারী রিজার্ভ হিসেবে ছিলেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ইনজুরিতে বাদ পড়েন। পার্থে যদি তার অভিষেক হয়, তবে তিনি হবেন অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে তৃতীয় আদিবাসী পুরুষ টেস্ট ক্রিকেটার এবং প্রথমবারের মতো একই টেস্ট দলে দু’জন আদিবাসী খেলোয়াড় (ডগেট ও বোল্যান্ড) থাকবেন।


আরও পড়ুন: ২৬ মাস পর বাবরের সেঞ্চুরি, দাপুটে জয়ে সিরিজ পাকিস্তানের


ব্রিসবেনে সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে কামিন্স সম্প্রতি বোলিংয়ের অনুশীলনের তীব্রতা বাড়িয়েছেন। যদিও সময় ক্রমে ফুরিয়ে আসছে। তিনি জানান, গত সপ্তাহে এসসিজির নেটে প্রায় ৯০% তীব্রতায় বোলিং করেছেন।


কামিন্স বলেন, 'গাব্বাই আমাদের টার্গেট। আশা করছি পার্থে ম্যাচ চলাকালীনই আমি প্রায় ১০০% পৌঁছে যাব। শূন্য থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে টেস্ট ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হওয়া কঠিন, তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।'


অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ এখন চরম পরীক্ষার মুখে। আর কেউ চোট পেলে বিকল্প খুঁজে পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়বে। ঝাই রিচার্ডসনকে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশে রাখা হয়েছে এবং কাঁধের অপারেশন থেকে ফেরার পর সিরিজের শেষ দিকে তিনি বিকল্প হতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। জেভিয়ার বার্টলেটও বিবেচনায় থাকতে পারেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন