লাম্বার বোন স্ট্রেসের কারণে প্যাট কামিন্সের অ্যাশেজে অংশ নেয়া ঝুঁকির মুখে পড়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার এই অধিনায়ক অবশ্য কোনোমতেই মর্যাদাপূর্ণ সিরিজে মাঠের বাইরে বসে দেখতে রাজি নন। কামিন্স স্বীকার করেছেন, তিনি অ্যাশেজের শুরুর আগেই পিঠের চোট থেকে সেরে ওঠার জন্য প্রমাণ করতে গিয়ে হয়তো 'ঝুঁকি' নিতে পারেন।
৩২ বছর বয়সী কামিন্স নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে সিরিজ চোটের কারণে মিস করলেও নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান জর্জ বেইলি আশা প্রকাশ করেছেন যে ২১ নভেম্বর পার্থে অ্যাশেজের উদ্বোধনী টেস্টে কামিন্সই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টস করতে নামবেন, তবে নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না তিনি।
চোটের ব্যাপারে প্রথমবার মুখ খুলে কামিন্স জানালেন, এত বড় সিরিজ বাইরে বসে দেখাটা ভয়ানক হতাশার হবে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সর্বনিম্ন টিকিটের মূল্য ১৫ হাজার টাকা
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ব্রিসবেনে কামিন্স সাংবাদিকদের বলেন, 'ওটা ভয়ানক হবে, তাই আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব যেন সময়মতো ফিরতে পারি। কিছু সিদ্ধান্ত নেব আরও কাছাকাছি সময়ে, তবে আত্মবিশ্বাসী আছি। রিহ্যাব সঠিকভাবে করে ভালোভাবে চেষ্টা করব।'
কামিন্স আরও বলেন, 'এটা বিশাল অ্যাশেজ সিরিজ। এর চেয়ে বড় কিছু নেই প্রায়, তাই যতটা সম্ভব টেস্ট খেলতে পারি তার জন্য কিছুটা ঝুঁকি নিতে এবং আক্রমণাত্মক হতে রাজি আছি।'
মঙ্গলবার বেইলির মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করে কামিন্স বলেন, ম্যাচ প্র্যাকটিস ছাড়াই প্রথম টেস্টের প্রস্তুতি নিতে পারবেন তিনি।
এই অজি অধিনায়ক বলেন, 'ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে আমি মনে করি ১৮–১৯ বছর বয়সের মতো ধীরে ধীরে নয়, অনেক দ্রুত ম্যাচ-ফিট হতে পারি। তখন মনে হতো কিছু শিল্ড ম্যাচ বা ওয়ানডে খেলা দরকার। এখন আমি আত্মবিশ্বাসী যে শিল্ড ম্যাচ না খেললেও ম্যাচের গতি ধরে ফেলতে পারব।'
জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর পরই ব্যথা বেড়ে যায় কামিন্সের, যদিও তিন টেস্টে তিনি মাত্র ৬০ ওভার বল করেছিলেন।
কামিন্স বলেন, 'সিরিজের পর আরও এক মাস সময় দিয়েছিলাম, তারপর চুপচাপ থেকেছি যেন চোটটা সেরে ওঠে। সোমবার আবার স্ক্যান করালাম—খুব খারাপ নয়, তবে বোঝা গেল কিছুটা সমস্যা এখনো আছে, তাই সতর্ক থাকতে হবে।'
'খারাপ লাগছে না, তবে এখনো বোলিং করছি না, দৌড়াচ্ছিও না। হাড়ের ইনজুরিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সেটাকে শান্ত করা। জিমে কিছুটা করছি, কিন্তু দৌড় বা বোলিং কিছু নয়। ওটা ঠিক হয়ে গেলে ধীরে ধীরে গ্রীষ্মের প্রস্তুতি নেব। হাতে প্রায় ১২ সপ্তাহ আছে প্রথম টেস্ট পর্যন্ত। দেখি এরপর কীভাবে এগোয়,'–তিনি যোগ করেন।
আরও পড়ুন: হান্ড্রেড মাতিয়ে ফের ইংল্যান্ডের স্কোয়াডে কক্স
যদি কামিন্স ফিট না হন, অস্ট্রেলিয়ার হাতে বিকল্প অধিনায়ক ও পেসার দুটোই আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টেস্টে হ্যাটট্রিক নেওয়া স্কট বোল্যান্ড প্রায় নিশ্চিতভাবেই পেস আক্রমণে ডাক পাবেন।
কামিন্স বলেন, 'আমরা সবসময় বলি গভীরতা দরকার। গত কয়েক বছর ভাগ্যবান ছিলাম, চারজন মূল বোলারের বাইরে খুব একটা যেতে হয়নি। তবে শন অ্যাবট, ব্রেন্ডন ডগেট, মাইকেল নেসার, ঝাই রিচার্ডসন—এমন চার-পাঁচজন আছে। ওরা টেস্ট টিমের আশেপাশে আছে, সুযোগ কম পেলেও জানি সুযোগ পেলে ভালো করবে। তবে আশা করি বাকিরা ফিট থাকবে, আমিও থাকব, আর প্রচুর রিসোর্স থাকবে আমাদের হাতে।'
প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে কামিন্সের টেস্ট অধিনায়কত্বের সময় একাধিকবার দায়িত্ব সামলেছেন।
]]>