গত মৌসুমে শাবি আলনসোর অধীনে অপরাজিত থেকে বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়েছিল বায়ার লেভারকুসেন। এটিই ক্লাবটির ইতিহাসের প্রথম লিগ শিরোপা ছিল। শাবির সিস্টেমে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আক্রমণাত্মক ফুলব্যাক। ফলে দুই ফুলব্যাক জেরেমি ফ্রিমপং ও আলেহান্দ্রো গ্রিমালদোর পারফরম্যান্সের ওপর অনেকটাই নির্ভর করেছিল তার সাফল্য। দুজনই দারুণভাবে কোচের আস্থার প্রমাণ দিয়েছিলেন।
ফ্রিমপং চলতি মৌসুমেও দারুণ খেলেছেন। গোল করতে বা করাতে সমান পারদর্শী তিনি। রক্ষণকাজেও দারুণ। অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ডের উত্তরসূরি খুঁজতে গিয়ে লিভারপুলের প্রথম পছন্দ ছিলেন তিনিই। চলতি মৌসুম শেষে লেভারকুসেন ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে যোগ দিচ্ছেন শাবি। কোচের দেখা দেখি লেভারকুসেন ছাড়ছেন ফ্রিমপংও। ২৪ বছর বয়সী ডাচ রাইটব্যাকের পরবর্তী ঠিকানা লিভারপুল।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের সহকারী কোচ হতে ‘প্রস্তুত’ কাকা
গতকাল সোমবার (১৯ মে) লিভারপুলে ফ্রিমপংয়ের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে লেভারকুসেনকে ফ্রিমপংয়ের রিলিজ ক্লজের ৩৫ মিলিয়ন ইউরো (৪৭৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা) পরিশোধ করতে সম্মত হয়েছে লিভারপুল। এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে লিভারপুলে যোগ দিচ্ছেন এই ডাচ রাইটব্যাক।
লিভারপুলের কোচ আর্নে স্লট ফ্রিমপংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। চাইলেই এই রাইটব্যাককে উইঙ্গার হিসেবেও খেলানো যায়। এই মৌসুমে সব মিলিয়ে ৪৮ ম্যাচে ৫ গোল করেছেন ফ্রিমপং, করিয়েছেন ১২ গোল।
এই রাইটব্যাককে বিক্রি করে অবশ্য পুরো টাকা একাই পাচ্ছে না লেভারকুসেন। আয় থেকে ৫ মিলিয়ন ইউরো পাচ্ছে ফ্রিমপংয়ের সাবেক ক্লাব সেল্টিকও। ২০১১ সালে ১১.৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে স্কটিশ ক্লাবটি থেকে তাকে দলে ভেড়ায় লেভারকুসেন। সে সময় চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তী দলবদলে সেল্টিককে আরও ৫ মিলিয়ন ইউরো দেয়ার শর্তও ছিল।
এর আগে ২০১৯ সালে ম্যানচেস্টার সিটির একাডেমি থেকে মাত্র ৩ লাখ পাউন্ডে ফ্রিমপংয়ে দলে ভিড়িয়েছিল সেল্টিক।