সুনীল গাভাস্কারের মতে, এই সিরিজের নাম হওয়া উচিত ছিল ‘টেন্ডুলকার-অ্যান্ডারসন ট্রফি’। এর আগে ইংল্যান্ড সফরে ভারত গেলে সেই ট্রফির নাম হতো ‘পতৌদি ট্রফি’ এবং ইংল্যান্ড ভারতের মাটিতে খেললে সেটার নাম হতো ‘অ্যান্থনি ডি মেলো ট্রফি’। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন একক ট্রফি থাকবে, ‘অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি’। তবে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কারের এটা একেবারেই পছন্দ হয়নি। তবে ট্রফির নামটা অবশ্য রেখেছিল দুই দেশের দুই ক্রিকেট বোর্ড ইসিবি ও বিসিসিআই মিলে।
আরও পড়ুন: পন্তকে ওর মতো খেলতে দাও
অ্যান্ডারসনের নামটা কেন আগে, সে ব্যাখ্যা অবশ্য কোনো বোর্ডই দেয়নি। অনেকের মতে, বর্ণানুক্রমে অ্যান্ডারসনের নাম আগে আসে বলেই ট্রফির নামটাও এভাবে রাখা হয়েছে। তবে মিড–ডেতে লেখা এক কলামে গাভাস্কার এ নিয়ে ভালোই ক্ষোভ ঝেড়েছেন।
মিড-ডেতে লেখা এক কলামে গাভাস্কার লিখেছেন, ‘অধিকাংশ ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীর জন্য ট্রফিতে অ্যান্ডারসনের নাম প্রথমে আসাটা যন্ত্রণাদায়ক। পীড়াদায়ক। টেন্ডুলকার শুধু কপিল দেবের সঙ্গে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটারই নন, তিনি অ্যান্ডারসনের চেয়ে ১২ বছরের বেশি সিনিয়র। টেস্ট ক্রিকেটে রান ও সেঞ্চুরির দিক থেকে টেন্ডুলকার ১ নম্বরে, এমনকি ওয়ানডেতেও তার রান অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি। অ্যান্ডারসন টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটশিকারিদের তালিকায় আছেন তৃতীয় স্থানে। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে তার রেকর্ড টেন্ডুলকারের মতো ভালো নয়।’
আরও পড়ুন: অনুশীলনে আবারও চোট পেলেন শান্ত
গাভাস্কার আরও বলেছেন, ‘টেন্ডুলকার বিশ্বকাপজয়ী দলের অংশ, কিন্তু অ্যান্ডারসন নন। অ্যান্ডারসন অসাধারণ একজন বোলার ছিলেন, তবে মূলত ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে। বিদেশের মাঠে তার রেকর্ড শচীনের কাছাকাছিও নয়। আমি সব ভারতীয় ক্রিকেট, ভক্ত এবং ভারতীয় গণমাধ্যমকে অনুরোধ করবো, এটাকে ‘টেন্ডুলকার-অ্যান্ডারসন ট্রফি’ বলার জন্য।’
]]>