ম্যাচ জয়ের পথে দারুণ অবদান রাখেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এমন পারফরম্যান্স করে একাধিক রেকর্ডও করেছেন তিনি। সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পর দেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন মিরাজ। সেইসঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটে ২ হাজার রানের পাশাপাশি ২০০ উইকেট নেয়ারও কীর্তি গড়েন এই অলরাউন্ডার। রেকর্ডময় ম্যাচের পর ৬ জনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন মিরাজ।
সাধারণত ব্যাটিংয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রসিদ্ধ কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের সঙ্গে কাজ করেন মিরাজ। এছাড়া স্পিন বোলিং কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গেও তিনি কাজ করেন। সোহেল অবশ্য এখন জাতীয় দলের সঙ্গেই কাজ করছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স করে এই দুজনের পাশাপাশি টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবালকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন মিরাজ।
আরও পড়ুন: এক সেশনেই ধসে গেল জিম্বাবুয়ে, ইনিংস ব্যবধানে জয় বাংলাদেশের
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো লাগছে। সত্যি কথা বলতে প্রথম ম্যাচ হারার পরে যেভাবে আমরা কামব্যাক করেছি এটা আমাদের দরকার ছিল। আমাদের সবার কমিটমেন্ট ছিল আমরা সবাই ভালো করব। শুরুতে আমি অবশ্যই তিনটা মানুষকে ধন্যবাদ দিতে চাই। যেহেতু ব্যাটিংটা নিয়ে অনেকদিন কাজ করছিলাম, কোচ বাবুল স্যারকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে চাই। একইসঙ্গে আমাদের দলের যে ম্যানেজার আছে নাফিস ইকবাল, তিনি আমাকে সবসময় বুস্টআপ করেন।’
মিরাজ আরও বলেন, ‘আজকেও যখন ব্যাটিংয়ে যাচ্ছিলাম তখন আমাকে বলছে, মিরাজ তুই কিন্তু প্রোপার ব্যাটার এবং তোর কিন্তু একশ রান আছে। উনি সবসময় চেষ্টা করে বুস্টআপ করার জন্য। দুইটা মানুষকে অবশ্যই মনের ভেতর থেকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আর বোলিং যেটা বললেন বোলিং খুবই ভালো হয়েছে। বোলিংয়ে তো আমাদের দলের সঙ্গেই আছে আমার গুরু সোহেল ইসলাম। অবশ্যই তিনটা মানুষকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’
আরও পড়ুন: সাকিব ও সোহাগ গাজীর বিরল রেকর্ডে ভাগ বসালেন মিরাজ
দ্বিতীয় দিনই তাইজুল ইসলামকে নিয়ে বড় লিডের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন মিরাজ। তাইজুলকে নিয়ে ৬৩, তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে ৯৬ ও শেষদিকে হাসানকে নিয়ে বাংলাদেশের ২১৭ সালের লিড দাঁড় করান মিরাজ। ম্যাচ শেষে এই তিন সতীর্থের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম চেষ্টা করেছিলাম দুইটা রান যেন নিতে পারি। ওইভাবেই দৌড় দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম বলটা দূরে গেছে কিন্তু বল ফিল্ডারের কাছে গেছে। তারপর ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছি, যদি আমার কপালে থাকে হ্যাঁ একশ হবে আর যদি আউট হয়ে যায় তাহলে তো কারো কিছু করার নেই। কিন্তু হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। সাকিবও (তানজিম সাকিব) ভালো সাপোর্ট দিয়েছে, তাইজুল ভাই। অবশ্যই ওদের তিনজনকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ওরা যেভাবে সাপোর্ট দিয়েছে, ওদের জন্যই আমি একশ রান করতে পেরেছি। এটা খুবই ভালো লেগেছে।’