আহত নুরুল্লাহ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাইফুর রহমানের ছেলে। পরিবারসহ শহরের জামিলনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন তিনি। এছাড়াও তিনি কাহালু সরকারি কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আহত নুরুল্লাহর ভাই নিয়ামুল হাসান মন্ডল জানান, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারি আজিজুল হক কলেজের সামনে নুরুল্লাহ মাথায় গুলি লাগে। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসক সার্জারি ওয়ার্ডে অপারেশন থিয়েটারে মাথার গুলি বের করেন। মেডিকেল প্রশাসনের ঝামেলার কারণে হাসপাতাল থেকে তাকে শহরের হেলথ সিটি ক্লিনিক চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা নেয়ার ৭/৮ দিন পর নুরুল্লাহকে বাসায় নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী হত্যা: থানায় সালিসে গিয়ে গ্রেফতার হলেন আইনজীবী
নিয়ামুল আরও জানান, নুরুল্লাহ বেশ সুস্থ ছিলেন। তার মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণে শেষ অপারেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ সোমবার রাতে তার মাথাব্যথা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে শজিমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে দুপুরের পর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকার সিএমএইচে নেয়া হয়।
বগুড়া জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লেঃ কর্নেল জুয়েল পারভেজ বলেন, বগুড়া এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল খালেদ আল মামুন স্যারের সার্বিক সহযোগিতা ও নির্দেশনায় আমরা দ্রুত উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আহত নুরুল্লাহকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ঢাকার সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।