বিরোধী দলগুলোর আপত্তির মুখে পাঁচ মাস ধরে ঝুলে ছিল বিলটি। এখন শুধু এটি আইনে পরিণত হওয়ার অপেক্ষা।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানান, দুর্বল অভিবাসীদের বিপজ্জনক ক্রসিং থেকে বিরত রাখার পাশাপাশি অপরাধী চক্র ভেঙে দিতেই এই পদক্ষেপ। এই বিলের মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হলো যে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী কেউ এখানে অবস্থান করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রস্তাব দাবি
জুলাই মাসের মাঝামাঝি অভিবাসীদের নিয়ে রুয়ান্ডার উদ্দেশে প্রথম ফ্লাইট ছেড়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
এ নিয়ে ২০২২ সালের এপ্রিলে দেশটির সরকারের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি হয় যুক্তরাজ্যের। চুক্তিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের সরকারের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা নেয়ার বিনিময়ে পাঁচ বছর দেশটিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জায়গা দেবে রুয়ান্ডা। পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসন বাবদ বাড়তি অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাজ্য। সে বছর অভিবাসীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি যাত্রার কথা থাকলেও পরবর্তীতে ইউরোপের মানবাধিকার আদালতের এক আদেশে বাতিল হয়ে যায় তা।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি /নিজ দলের বিরুদ্ধে লেবার পার্টির ৫৬ এমপির অবস্থান
এদিকে রুয়ান্ডা বিলকে অমানবিক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এবং ইউরোপ কাউন্সিল উভয়ই যুক্তরাজ্যকে তার পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানায়। কারণ এই আইনটি মানবাধিকার সুরক্ষাকে ক্ষুণ্ন করে এবং বিশ্বব্যাপী অভিবাসন সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
]]>