অভিনয়ের কথা বলে শ্রীপুরের রিসোর্টে গণধর্ষণ, পরিচালকসহ ৩ জনের নামে মামলা

৫ দিন আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে নাটকের কথা বলে এক মডেলকে রিসোর্টে এনে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় নাটকের পরিচালকসহ ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় ৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, নাটকের পরিচালক মো. নাছির (৩৫), তার সহযোগী মো. বাবর (৩২) ও অজ্ঞাত পরিচয় রিসোর্টের মালিক, যার বয়স ৬০ বছর। এজাহারে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।

 

থানায় দায়ের করা এজাহার ও বাদির বক্তব্য থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী একজন আর্টিস্ট ও মডেল। মামলায় অভিযুক্ত মো. নাছির নাটকের পরিচালক ও মোঃ বাবর এবং অপরজন রিসোর্টের মালিক। গত ২১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে স্যুটিংয়ের কথা বলে ঢাকার মিরপুর থেকে গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের রাজ রিসোর্টের একটি কক্ষে আটকে রাখে। এসময় নাছির, বাবরসহ অজ্ঞাত নামের রিসোর্টের মালিক পরিচয় দেয়া ব্যক্তি পর্যায়ক্রমে ওই নারীকে জোর করে ও হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পর দিন বিকেলে আসামিরা ওই নারীকে তার ব্যবহৃত ২লাখ ৪০হাজার টাকা মূল্যের একটি আইফোন রেখে পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে মারধর করে রিসোর্ট থেকে বের করে দেন।

 

আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রীকে অজ্ঞান করে গণধর্ষণ, বিচারের দাবিতে আধাবেলা সড়ক অবরোধ

 

মামলার ভিক্টিম ও বাদী ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে বলেন, আমাকে একটি নাটকে অভিনয় করার বিষয়ে কথা বলার জন্য রিসোর্টে এনে আটকে রাখা হয়। পরে আসামিরা মদের কাঁচের বোতল ভেঙে আমাকে আঘাত করে হত্যার ভয় দেখায়, শারিরীক নির্যাতন করে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।

 

তিনি আরো বলেন, আসামীরা খুবই প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান। তারা আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমাকে শ্রীপুর থানায় হেফাজতে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

 

অভিযুক্ত নাছিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নিজেকে নাটকের পরিচালক পরিচয় দিয়ে বলেন, সেখানে আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম। অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমাকে ব্ল্যাক মেইল করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক জানান, নারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিত্রে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: গণধর্ষণের হুমকি দেয়া শিক্ষার্থীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের

 

এ বিষয়ে রিসোর্টের মালিকপক্ষের বক্তব্য নেয়ার জন্য রিসোর্টের রিসিভশনের নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি। তাই তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন