শতভাগ অনলাইনভিত্তিক হওয়ার পরও কালোবাজারি থামেনি ট্রেনের টিকিটের। ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র ও মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করে একটি চক্র চালিয়ে যাচ্ছে টিকিট কালোবাজারি।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে একক যাত্রায় চালু হচ্ছে কাগজের টিকিট
রেল পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক ফেসবুক গ্রুপ, যেখানে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করে কালোবাজারিরা। জড়িত দুজনকে আটকের পর বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কালোবাজারির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানালেন ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ারুল হোসেন।
রেলওয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন,
গ্রুপের সদস্যরা এনআইডি ও মোবাইল নম্বর দিয়ে সকাল ৮টা থেকে টিকিট কাটার চেষ্টা করেন। টিকিট কাটার পর তাদের দলনেতার কাছে পাঠিয়ে দেন। দলনেতার বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ খুলে বিজ্ঞাপন দেয়, টিকিট লাগবে কিনা। তখন আগ্রহী ক্রেতারা নক দিলে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমুতে কথা বলে দরকষাকষি করে ঠিক হলে বিকাশ, নগদ অথবা রকেটে টাকাটা লেনদেন হয়। টাকা পাওয়ার পর টিকিটের পিডিএফ কপি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
তিনি জানান, চক্রের সদস্যরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ এবং খুব সংগঠিতভাবে কাজ করেন। আটক দুজনের মুঠোফোন তল্লাশি করে রেলওয়ে সেবা অ্যাপের ৩০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃতদের দেহ তল্লাশি করে ১৭৯টি ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের বিভিন্ন তারিখের টিকিট জব্দ করা হয়েছে। সঙ্গে একটি স্মার্টফোনও জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সাড়ে তিন ঘণ্টায় খুলনা থেকে ঢাকা, ট্রেন চলবে ২৪ ডিসেম্বর থেকে
সরকারি এই গণপরিবহনে কালোবাজারি রোধে ‘টিকিট যার, যাত্রা তার; ব্যবস্থা চালু করতে অধিদফতরে সুপারিশ করা হবে বলেও জানান রেলওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা।
]]>