মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) উত্তর সুমাত্রার তানজুংবালাই আসাহানের দ্বিতীয় শ্রেণীর ইমিগ্রেশন অফিসের প্রধান বারন্দারু উইদিয়ার্তো জানান, তেলুক নিবুং জেলার পেমাটাং পাসির গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ওই তিন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়।
বারন্দারু উইদিয়ার্তো বলেন, কর্মকর্তারা বাড়ির ভেতরে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে খুঁজে পান, যাদের চারদিন ধরে খাবার ছাড়া আটকে রাখা হয়েছিল। তাদের কাছে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশের কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, এই তিন বাংলাদেশি ২০১১ সালের অভিবাসন সংক্রান্ত আইন নম্বর ৬, ধারা ১১৯ অনুচ্ছেদ (১) লঙ্ঘন করেছেন। এই আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি নাগরিক যদি আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ইন্দোনেশিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ বা প্রস্থান করে, তবে তার সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ কোটি ইন্দোনেশীয় রুপিয়া পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
আরও পড়ুন: কুয়েতের গ্র্যান্ড মসজিদে বাংলাদেশের ক্যালিগ্রাফি
এই কর্মকর্তার মতে, এই তিন বাংলাদেশির কাছে ইন্দোনেশিয়া প্রবেশের নথি না থাকলেও মালয়েশিয়া ভ্রমণের বৈধ নথি ছিল। একজন এজেন্ট তাদের অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই অনুসারে তাদের ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্ট এড়িয়ে একটি স্পিডবোটে করে ইন্দোনেশিয়ায় নিয়ে আসা হয়।
বারন্দারু উইদিয়ার্তো বলেন, তারা পাচারের শিকার কি না, সে বিষয়ে এখন তদন্ত চলছে। ইন্দোনেশিয়ায় অবৈধ প্রবেশ রোধে এবং মানব পাচারকারীদের উপর নজরদারি বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানো হবে বলেও তিনি জানান।
]]>