অবিবাহিত সাহাবিকে নবীজির উপদেশ

৪ দিন আগে
বিয়ে ইবাদত। এটি করা সুন্নত। বিয়ের মাধ্যমে ঈমান পূর্ণতা পায়। পৃথিবীতে জোড়া জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। অভিভাবকদের মনে রাখতে হবে, সন্তান সাবালক হলে বিয়ে না করালে সে যে গুনাহগুলোতে জড়াবে আপনিও তার ভাগীদার হবেন। যার সামর্থ্য আছে তাকে অবশ্যই বিয়ে করিয়ে দেয়া বাবা-মায়ের কর্তব্য।

হজরত আবুজর গিফারি (রা.) থেকে একটি দীর্ঘ হাদিসে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আক্কাফ (রা.)-কে বলেন, হে আক্কাফ! তোমার স্ত্রী আছে? তিনি বললেন, না।

 

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার কি সম্পদ ও সচ্ছলতা আছে? তিনি বললেন, আমার সম্পদ ও সচ্ছলতা আছে।

 

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি এখন শয়তানদের ভাইদের দলভুক্ত। যদি তুমি খ্রিষ্টান হতে তবে তাদের রাহেব (পাদ্রী) হতে। নিঃসন্দেহে বিয়ে করা আমাদের রীতি। তোমাদের মধ্যে সব থেকে নিকৃষ্ট ওই ব্যক্তি যে অবিবাহিত। মৃতব্যক্তিদের মধ্যে নিকৃষ্ট ব্যক্তি যে অবিবাহিত। তোমরা কি শয়তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাও?

 

আরও পড়ুন: অমুসলিম ছেলেকে বিয়ে করা যাবে?


শয়তানের কাছে নারীর চেয়ে ভয়ংকর কোনও অস্ত্র নেই। যা ধর্মভীরু মানুষের ওপরও কার্যকরী। তারাও নারীসংক্রান্ত ফেতনায় জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু যারা বিয়ে করেছে তারা নারীর ফেতনা থেকে পবিত্র। নোংরামি থেকে মুক্ত। (মুসনাদে আহমাদ, জামেউল ফাওয়ায়েদ, ইমদাদুল ফতোয়া, খণ্ড :২,  ২৫৯)

 

আরেক হাদিসে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 

 

যখন কোনো ব্যক্তি বিবাহ করল, তখন সে দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করল। (বায়হাক্বী, মিশকাত, হাদিস: ৩০৯৬)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন