বুধবার (২৫ জুন) বিকেল ৫টার দিকে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযানে অংশ নেন সেনাবাহিনী, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কর্মকর্তারা।
অভিযানে হাসপাতালটিতে নানা অনিয়ম ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মেশকাতুল আবেদ।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালটিতে একজন প্রসূতির চিকিৎসা অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। হাসপাতালটির কাগজপত্র নবায়ন করা না থাকায় এবং অন্যান্য সমস্যা থাকার কারণে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।’
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটার রুমে কিছু ইকুইপমেন্ট কমতি রয়েছে। ২০ বেডের অনুমোদন থাকলেও ৩০টি বেড রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী সংকট রয়েছে। তাদের সতর্কবার্তা দেয়ার পাশাপাশি এসব ঠিক করার জন্য নির্দিষ্ট সময় দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপককে কারাদণ্ড
সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা বলেন, ‘রংপুর জেলায় প্রতিনিয়তই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছে এবং অবৈধ ও অনিয়মিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
এদিকে ১৬ জুন যৌথ বাহিনীর অভিযানে স্বপ্ন জেনারেল হাসপাতাল বন্ধ করার পরেও গোপনে রোগী ভর্তি কার্যক্রম ও অপারেশন করে আসার অভিযোগে আবারো অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়।
]]>