অবশেষে মুহুরী নদীর ভাঙা বেড়িবাঁধের সংস্কার শুরু

২ সপ্তাহ আগে
মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতে কাজ অবশেষে শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। শনিবার (২১ জুন) সকাল থেকে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বণিকপাড়া গ্রাম এলাকায় ২০ মিটার ভাঙা অংশে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ভারিবর্ষণ বন্ধ থাকায় ও নদীতে পানি কমায় মুহুরী নদীর ২০ মিটার ভাঙন অংশ মেরামতে জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে শনিবার রাতের মধ্যে ভাঙন অংশের মেরামত কাজ শেষ হবে।


পাউবো-ফেনীর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘পাশের সিলোনিয়া নদীর বাঁধের যে অংশ ভেঙেছে, সেটি সংস্কারে নদীর পানি কমার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। গোসাইপুর অংশে ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করতে কয়েক দিন সময় লাগবে।’


আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নতুন বাঁধ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ, সীমান্তে প্রতিনিধিদল


ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহরিয়া ইসলাম বলেন, ‘বাঁধের সংস্কার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তদারকি করা হচ্ছে। পাউবোকে বলা হয়েছে- ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের অংশগুলো শনাক্ত করে দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া জন্য।’


পাউবো ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীতে টেকসই বাঁধ নির্মাণে নতুন একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দের সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার মানুষ প্রতিবছর বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে পরিত্রাণ পাবেন।’


আরও পড়ুন: বাড়ছে নদীর পানি, প্লাবিত হতে পারে যে ৮ জেলার নিম্নাঞ্চল


গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে টানাবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বণিকপাড়া গ্রামের সহদেব বৈদ্যের বাড়িসংলগ্ন মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের একটি স্থান ও সিলোনীয়া নদীর গোসাইপুর এলাকা অংশে বাঁধ ভেঙে যায়। এতে উপজেলার ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়।


গ্রামগুলো হলো: উত্তর বড়ইয়া, দক্ষিণ বড়ইয়া, বিজয়পুর, বণিকপাড়া, বসন্তপুর, জগৎপুর, গোসাইপুর, করইয়া, নীলাক্ষী।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন