মণিপুরে সংঘাতে আড়াইশ’র বেশি প্রাণহানি ও লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার পরও চুপ থাকায় সমালোচনার মুখে পড়েন মোদি।
২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে বিশেষ মর্যাদা দেয়াকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় জড়ায় মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়। দীর্ঘদিন ধরে চলা জাতিগত সংঘাতে আড়াইশোর বেশি মানুষ নিহত হন। গৃহহীন হয়ে পড়েন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।
সহিংসতা ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের ওপর। রাজ্যটিতে সফর না করায় বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অবশেষে ৮৫০ দিন পর মণিপুরে যাচ্ছেন মোদি। আগামী সপ্তাহে তার সম্ভাব্য সফরের খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জনসভার পাশাপাশি তার শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতকে আরও ‘এস-৪০০’ দিচ্ছে রাশিয়া!
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে মণিপুরের দীর্ঘদিনের সহিংসতা অবসানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন অনেকে। যদিও প্রশ্ন উঠছে এত দেরিতে কেন এই সফর?
বিরোধী কংগ্রেসের দাবি, পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সমালোচনার মুখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিরেন সিং পদত্যাগ করলেও দায় এড়াতে পারেনি দলটি।
এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে কুকি গোষ্ঠীর সঙ্গে নতুন সাসপেনশন অব অপারেশনস চুক্তি। মণিপুরে আলাদা প্রশাসন চায় কুকি। এছাড়া বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো নির্দিষ্ট এলাকায় অস্ত্র রাখা এবং সরকার তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান না চালানোর কথা আছে চুক্তিতে। এতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে মেইতেই সম্প্রদায়।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৭ বছর পর হঠাৎ ফেসবুকে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর খুনসুটির ভিডিও
২০০৮ সালে প্রথম স্বাক্ষরিত এই চুক্তি প্রতিবছর নবায়ন হলেও ২০২৪ সালে তা স্থগিত হয়। সহিংসতা বন্ধে এই চুক্তি আবার কার্যকর করতে চাচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।