সাজিয়া আফরিন লুবনা। ২৩ বছর আগে চাকরি ছেড়ে শুরু করেন বুটিক ব্যবসা। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গড়েছেন নিজস্ব কারখানা। যেখানে মিলেছে অনেকের কাজের সুযোগ। লুবনা বলেন, স্বামীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে কাজটি শুরু করেছিলাম। ধীরে ধীরে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়েছি।
তবে এসব উদ্যোগের পেছনে থাকে অনেক না বলা কথা। সময়মতো আর্থিক সহায়তা না পাওয়ার আছে নানা বঞ্চনার গল্পও। উদ্যোক্তারা বলছেন, এসএমই খাতের বরাদ্দ কম হওয়ায় উদ্যোক্তাদের সবাই লোন পাচ্ছে না। এখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। তাহলে উদ্যোক্তারা লোন নিতে পারবেন। এতে বাড়বে কর্মসংস্থানও।
এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ না থাকায় এ খাতের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে বলেও মন করেন উদ্যোক্তারা। তারা বলেন, এ খাতের উদ্যেক্তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঋণের অভাবে ব্যবসা বাড়াতে পারছেন না ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা
অর্থনৈতিক শুমারি বলছে, দেশজুড়ে এসএমই খাতে উদ্যোক্তা প্রায় সোয়া এক কোটি। যাদের হাত ধরে হয়েছে ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান। জিডিপিতে এখাতের অবদান ২৭ থেকে ৩২ শতাংশ।
এত অবদানের পরও বাজেটে উপেক্ষিত এসএমই খাত। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েও পায়নি এসএমই ফাউন্ডেশন। তাই নতুন বাজেটে সুনির্দিষ্ট দিক নিদের্শনা চাইছে সংস্থাটি।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রচুর লোক আছে, যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন চায়। তবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সেটি দিতে পারছে না। এ খাতে অন্তত প্রতিবছর দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া দরকার।
উদ্যোক্তাদের জন্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারের সহায়তা চেয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
]]>