শুক্রবার (১১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই নিন্দা জানান।
ফখরুল বলেন, ‘এই পৈশাচিক ঘটনা কেবল একটি জীবনহানিই নয়- এটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গভীর হতাশার বহিঃপ্রকাশ। আমাদের সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস এবং বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই। অপরাধী যেই হোক, তার স্থান কখনোই আইন ও ন্যায়বিচারের ঊর্ধ্বে হতে পারে না।’
জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর উল্লিখিত নির্মম ঘটনাটি দেশের মানুষের বিবেককে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত পৈশাচিক ও ন্যক্কারজনক ঘটনাটির দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের সমাজকে আরও গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঘটনাটির অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করুন। প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।’
আরও পড়ুন: মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: বিচার দাবিতে উত্তাল দেশের বিশ্ববিদ্যালয়
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে সোহাগকে কুপিয়ে এবং মাথায় বড় পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় নেটিজেনদের মাঝে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোহাগকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালের গেটের ভেতরে মারধর করা হয়। পরে তাকে টেনে-হিঁচড়ে গেটের বাইরে এনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
]]>