রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিক একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে কেবল দাবি-দাওয়ার আন্দোলন দেখতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬১৫টি বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘটনা ঘটেছে। প্রতিদিন গড়ে চারটা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। এরমধ্যে ৬০০টি ছিল শিক্ষা সম্পর্কিত।
তবে সরকার সব তরফের সঙ্গে কথা বলে আইনশঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখার চেষ্টা করছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
সর্বশেষ নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজবাড়ীর ঘটনায় ইতোমধ্যে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যখনই যে ঘটনা ঘটছে, প্রতিটি ঘটনায় আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকানোর: শফিকুল আলম
এ সময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সমস্যা সমাধানে দুটি কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বদলিকৃতদের পূর্বের জায়গায় ফেরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তদেরও পূর্বের পদে ফেরানোর জন্য বলা হয়েছে। তাই কর্মবিরতির কোনো প্রয়োজন দেখছে না অন্তর্বর্তী সরকার। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহক সেবা ব্যাহত হলে সরকার কঠিন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা মণ্ডলীর বৈঠক থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করার কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল, তা আরও জোরদারেরও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পল্লী বিদ্যুতের আন্দোলনে দেশবিরোধী শক্তির ইন্ধন রয়েছে: প্রেস সচিব
রাজবাড়ীর ঘটনায় তিনি বলেন, রাজবাড়ীর ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যাদের দুজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। লাশ উত্তোলন করেছে যে ব্যক্তি, তার নাম কাজী অপু, তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
]]>