প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় বেশ কদিন আগে মাসব্যাপী মেলার এই আয়োজন করা হয়। শুরু থেকেই মেলা চত্বরে নাগরদোলা চলছিল। বিকেল ৫টার দিকে নাগরদোলায় চড়েন ২৫-৩০ জন দর্শনার্থী। হঠাৎ চলন্ত নাগরদোলা হেলে পড়ে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ঘটনার পরপরই কড়া নিরাপত্তায় আহতদের উদ্ধার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে মেলা কর্তৃপক্ষ। এ সময় ছবি তুলতে চাইলে সাংবাদিকদেরও বাধা দেয়া হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুস ছামাদ সময় সংবাদকে বলেন, ‘নিচে বালু থাকায় তা ডেবে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সাধারণত বালুর ওপর এতো বড় নাগরদোলা বসানোর নিয়ম নেই। তবে কর্তৃপক্ষ কার অনুমতি নিয়ে এমন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নাগরদোলা বসিয়েছে তা তাদের জিজ্ঞেস করা উচিত।’
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুর হাসান বলেন, ‘মেলার অনুমতির জন্য আমাদের কাছে আবেদন করেনি। তাই আমরা কোনো অনুমতি দেইনি।’
আরও পড়ুন: লাইনে আটকা পড়া ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলো পর্যটক এক্সপ্রেস
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘মেলার নীতিনির্ধারক জেলা প্রশাসক। কিন্তুমেলার অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর কোনো আবেদই করেনি কতৃপক্ষ।’
এ বিষয়ে মেলা আয়োজকদের একজন মাহমুদ বলেন, ‘মেলার অনুমতি দিয়েছে সেনাবাহিনী।’
যদিও গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নির্বাহী অফিসার আবুজর গিফারী বলেন, ‘আমাদেরকে শুধুমাত্র জানানো হয়েছিল। তবে আমরা মেলার কোনো অনুমতি দেইনি।’
]]>