অনুপ্রবেশের অভিযোগ, ইন্দোনেশিয়ায় ৪ বাংলাদেশি আটক

২ দিন আগে
অবৈধভাবে ইন্দোনেশিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ এবং বৈধ ভ্রমণ নথি না থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের চার নাগরিককে আটক করেছে পশ্চিম জাভা প্রদেশের তাসিকমালায় ইমিগ্রেশন। আটক চারজন মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে ইন্দোনেশিয়াকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছিলেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এক লিখিত বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তাসিকমালায় ইমিগ্রেশন অফিসের প্রধান ইন্দ্রা বঙ্গসাওয়ান।

 

ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক হওয়া চার বাংলাদেশি একটি পালতোলা নৌকা ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। প্রায় ১০ দিনের সমুদ্রযাত্রা শেষে তারা সুমাত্রা দ্বীপের একটি উপকূলে পৌঁছান। যাত্রাপথে এক রোহিঙ্গা নাগরিক তাদের মানবিক সহায়তা করেছিলেন বলেও জানা গেছে।

 

ইমিগ্রেশন প্রধান ইন্দ্রা বঙ্গসাওয়ান জানান, গত ২৬ সেপ্টেম্বর গারুত রিজেন্সির ন্যাশনাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল ইউনিটি থেকে একটি রিপোর্ট পাওয়ার পর এই অভিযান চালানো হয়। রিপোর্টে বলা হয়, চারজন বিদেশি নাগরিক চেকেলেট জেলার একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন, কিন্তু তারা হোটেলের বিল পরিশোধ করেননি এবং কোনো ইমিগ্রেশন ডকুমেন্ট দেখাতে পারেননি।

 

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেন। যাচাইয়ের পর নিশ্চিত হওয়া যায়, বাংলাদেশের এই চারজন নাগরিকের কাছে বৈধ ভ্রমণ নথি এবং ইন্দোনেশিয়ায় থাকার অনুমতি ছিল না। সিমকিম ইমিগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের ডেটাবেসেও তাদের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, যা প্রমাণ করে তারা ইন্দোনেশিয়ায় কোনো আনুষ্ঠানিক চেকপোস্ট ছাড়াই প্রবেশ করেছিলেন। 

 

আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় আটক ৯ বাংলাদেশিকে রুডেনিম আশ্রয়কেন্দ্রে হস্তান্তর

 

আটকরা স্বীকার করেছেন, তারা প্রত্যেকে মালয়েশিয়ায় পাচার হওয়ার জন্য ‘এমজে’ নামের এক ব্যক্তিকে প্রায় ৭০ মিলিয়ন রুপিয়া (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ লাখ টাকা) করে দিয়েছেন।

 

সুমাত্রায় পৌঁছানোর পর স্থানীয় কিছু লোক তাদের পাঁচদিন আশ্রয় দেয়। সেখান থেকে তাদের পেকানবারু টার্মিনাল হয়ে জাকার্তার দিকে যাত্রা করার নির্দেশ দেয়া হয় এবং সবশেষে ট্যাক্সি যোগে গারুতে পৌঁছান। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ইন্দোনেশিয়ায় থাকা নয়, বরং দেশটি ব্যবহার করে মালয়েশিয়ায় পৌঁছানো।

 

তাসিকমালায় ইমিগ্রেশন বলছে, ওই চার বাংলাদেশি দেশটির ২০১১ সালের ৬ নম্বর আইন অনুযায়ী ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত ধারা ১১৯ (১) এবং ধারা ১১৩ লঙ্ঘন করেছেন। ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে থাকার বাধ্যবাধকতাসহ প্রশাসনিক ইমিগ্রেশন অ্যাকশনের অধীনে রাখা হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন