সিআইডি জানায় প্রাথমিক তদন্তে মিনহাজুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনলাইনে ব্যবসায় বিনিয়োগ এবং উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ মিলেছে। টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের “মারলিং এক্সপ্লোর প্রপার্টি কোম্পানি” নামে উচ্চ লাভের প্রলোভন দেখাতো অভিযুক্তরা।
পরে একজন এজেন্টের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন কাজ (টাস্ক) সম্পন্ন করতে বলা হতো এবং প্রতিটি কাজের জন্য ভুক্তভোগীকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হতো। এই পদ্ধতির মাধ্যমে চক্রটি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিত।
ভুক্তভোগী মো. শাহজালাল এরূপ প্রতারণার শিকার হয়ে বিকাশ, নগদ ও ডাচ বাংলা ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে মোট ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৬৯ টাকা হারান। পরে তিনি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তভার সিআইডি ঢাকা মেট্রো পূর্ব ইউনিট গ্রহণ করে। আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে সিআইডি অভিযুক্তের অবস্থান শনাক্ত করে এবং তাকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার জোরগাছা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: অনলাইনে শত শত পরিবারকে নিঃস্ব করেন তারা, কীভাবে?
এ সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারের পর সিআইডি তাকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠায়। চক্রের অন্যান্য আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি।
]]>