বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অনলাইন মাছ ব্যবসায়ীর হাতে নিবন্ধনপত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা প্রমূখ।
এছাড়া সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী এবং মাছ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইলিশ বিক্রির নামে অনলাইনে একশ্রেণির মানুষ ক্রেতাদের প্রতারিত করছিল। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন প্রকৃত মাছ ব্যবসায়ী অর্থাৎ যারা অনলাইন মাছ বিক্রি করেন। তাদেরকে নিবন্ধনের আওতায় নেওয়া হয়। এতে করে আগামীদিনে দূরদূরান্তের ইলিশ ক্রেতারা প্রতারণা থেকে পরিত্রাণ পাবেন। পুলিশ সুপার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই আগাম টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরইমধ্যে এমন বেশকিছু প্রতারক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছে। আশা করছি, এবার নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় সেই প্রতারণা বন্ধ হবে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার পাঁচদিন / ইলিশসহ ৪ টন মাছ জব্দ, গ্রেফতার ৩২৮ জেলে
এদিকে, উপস্থিত বেশ কয়েকজন অনলাইন মাছ বিক্রেতা জানান, এতে তারাও খুশি। কারণ, অসাধু লোকজন মাছ না দিয়েই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা অপবাদের স্বীকার একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমান জানান, মোট ৪২ জন আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে সাতজনকে তালিকাভুক্ত করে অনলাইনে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ বিক্রির জন্য নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এতে একশ্রেণির প্রতারক অনলাইনে কমদামে ইলিশ সরবরাহের নামে আগাম টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।