বসতি স্থাপনকারীরা মসজিদটির প্রবেশপথে দাহ্য পদার্থ ঢেলে ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে তাসনিম নিউজ এজেন্সি।
এ সময় বসতি স্থাপনকারীরা বর্ণবাদী স্লোগান দিয়ে মসজিদের দেয়াল ভাঙচুর করে।
আরও পড়ুন:ইসরাইলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমারের পদত্যাগ
তবে, পুরো মসজিদটি পুড়ে যাওয়ার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর জন্য ছুটে যান।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, আওকাফ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এটিকে ‘জঘন্য অপরাধ এবং মুসলমানদের অনুভূতির উপর স্পষ্ট আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছে।
ছবিতে দেখা গেছে, আগুনে ভেতরের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পোড়া ধ্বংসাবশেষের স্তূপ। দেয়ালগুলো ধোঁয়া এবং তাপের চিহ্নে কালো হয়ে গেছে এবং জানালার কাচ ভেঙে গেছে।
এদিকে, বেথলেহেমের পূর্বে, নিকটবর্তী কিসান গ্রামে, ‘ওয়াদি আবু আইয়াশ’ এলাকায় জমি চাষ করার সময় বাসিন্দাদের ওপর বসতি স্থাপনকারীরা হামলা চালায়। এ সময় ইসরাইলি বাহিনী ২৫ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি যুবককে গুলি করে আহত করে।
এছাড়া প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় আরিহার উত্তর-পশ্চিমে বসতি স্থাপনকারীদের নৃশংস হামলার পর আরেক ফিলিস্তিনি যুবকের মাথার খুলি ভেঙে গেছে।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ‘কলনাইজেশন ও ওয়াল রেজিস্টান্স কমিশনের’ (সিআরআরসি) প্রধান মুয়াইয়াদ শাবান জানান, ইসরাইলি শাসক বাহিনী গত মাসে পশ্চিম তীর জুড়ে ১,৫৮৪টি আক্রমণ চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সহিংস হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর এবং ফিলিস্তিনি জলপাই বাগান ধ্বংস করা।
আরও পড়ুন:ইসরাইলের হামলা / পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি তরুণকে গুলি করে হত্যা
২০২৪ সালের জুলাই মাসে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) রায় দেয় যে, ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনে ইসরাইলের কয়েক দশক ধরে দখলদারিত্ব অবৈধ এবং পশ্চিম তীর এবং পূর্ব আল-কুদসে বসতি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলার আহ্বান জানানো হয়।
]]>

৪ দিন আগে
২








Bengali (BD) ·
English (US) ·